সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করছে : ফখরুল
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জুলাই ২০১৯, ১:২৮:২৩ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক ::
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। এই ক্ষমতা চিরস্থায়ী হতে পারে না। ক্ষমতা অবশ্যই শেষ হবে। শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতীকী অনশনে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতীকী অনশনের আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ-বিএসপিপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, যেহেতু সরকারের জবাবদিহিতা নেই, তাই তারা একে একে দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করছে, প্রশাসন, মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে, তারা সেনাবাহিনীকে পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। এভাবে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, তাদের প্রতিপক্ষ করে, শুধুমাত্র রাষ্ট্রর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সফল হওয়া যাবে না। তিনি বলেন, বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন নয়, এই বিচার ব্যবস্থা পুরোপুরিভাবে আওয়ামী লীগের করায়ত্ত হয়ে গেছে। তা প্রমাণিত হয়ে গেছে পাবনায় ৯৪ সালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ৯ জনকে আদালত ফাঁসির রায় দিয়েছে, ২৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন, বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। ওই ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো ছিল। তার প্রমাণ, একজন লেখক রেন্টু লিখে গেছেন যে, আওয়ামী লীগ নিজেরাই ওই ঘটনাটি ঘটিয়েছিল। শুধুমাত্র জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য। বিচার ব্যবস্থাকে রাজনীতিক করণে সারা দেশের মানুষ অসহনীয় যন্ত্রণা ভোগ করছে।
অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএসপিপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গণী চোধুরী, মহাসচিব শহিদুল ইসলাম, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ডা. রুস্তম আলী মধুসহ সাংবাদিক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।