চুনারুঘাটে প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জুলাই ২০১৯, ২:২৫:২১ অপরাহ্ন
হবিগঞ্জ সংবাদদাতা::
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের পাক্কাবাড়ি গ্রামের প্রতিবন্ধী কিশোরী জোসনা আক্তার (১৬) কে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক ইয়াকুত বাবুর্চী মামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ নিয়ে প্রতিবন্ধী জোসনার চাচা আক্কাস মিয়া বাদী হয়ে গত ১৯ জুন হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে ইয়াকুত আলীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের পাক্কাবাড়ি গ্রামের মৃত কনা মিয়ার ছেলে ইয়াকুত আলী বাবুর্চীর আসামপাড়া বাজারে একটি ডেকোরেটার্সের দোকানে প্রতিবন্ধী কিশোরী জোসনার বাবা-মাকে কাজ দেয়। প্রতিবন্ধী জোসনার পিতা-মাতা ওই ডেকোরেটার্সের পিছনে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো। এ সুবাদে ইয়াকুত আলী বাবুর্চীর কুনজর পড়ে প্রতিবন্ধী কিশোরী জোসনার উপর। ইয়াকুত বাবুর্চী প্রতিবন্ধী কিশোরী জোসনাকে বার বার ধর্ষন করে।
এক পর্যায়ে জোসনা গর্ভবতী হয়ে পড়ে এবং গর্ভটি নষ্ট হয়ে মৃত নবজাতকের জন্ম হয়। এ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা বিচার-সালিশ করে ব্যর্থ হন। গর্ভপাতের পর থেকে প্রতিবন্ধী জোসনা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে গত মঙ্গলবার তাকে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। প্রতিবন্ধী কিশোরী জোসনার বাবা-মা উভয়েই প্রতিবন্ধী হওয়ায় চাচা মো: আক্কাস মিয়া বাদী হয়ে গত ১৯ জুন হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে ইয়াকুত আলী বাবুর্চীকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
প্রতিবন্ধী কিশোরী জোসনাকে চুনারুঘাট হাসপাতালে ভর্তির পর থানা পুলিশ মৃত নবজাতক ছেলের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্তের পর মৃত নবজাতকের লাশ প্রতিবন্ধীর চাচা আক্কাস আলীর কাছে হস্তান্তর করে চুনারুঘাট থানা পুলিশ। ধর্ষক ইয়াকুত আলী আত্মগোপন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। উক্ত ঘটনায় চুনারুঘাট থানার এস.আই জাহাঙ্গীর কবির সহ একদল পুলিশ শুক্রবার দুপুরের দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আসামীকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান। এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি কে.এম আজমিরুজ্জামান বলেন, মামলাটি দ্রুত তদন্তের জন্য এস.আই জাহাঙ্গীরকে নির্দেশ দিয়েছি।