জুড়ীতে নদী ভাঙ্গণের ঝুঁকিতে স্কুলসহ নানা স্থাপনা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জুলাই ২০১৯, ৪:০০:০২ অপরাহ্ন
আব্দুর রব, বড়লেখা থেকে ::
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার রানীমোরা নামক স্থানে জুড়ী নদীর ভাঙ্গনে নদীগর্ভে বিলিন হতে চলেছে বীর গুগালী জামে মসজিদ। ভাঙ্গণ ঝুঁকিতে রয়েছে স্কুলসহ অসংখ্য স্থাপনা। এলাকাবাসী ভাঙ্গণ রোধে দ্রুত প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে উৎপত্তি হওয়া জুড়ী নদী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের রানীমোরা হয়ে জুড়ী বাজারের মধ্য দিয়ে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে হাকালুকি হাওরে পতিত হয়েছে। ভারতীয় ও পাহাড়ী ঢলের পানির তীব্র ¯্রােতে জুড়ী নদীর পানির গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় রানীমোরা এলাকায় বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়ী নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গণের মুখে পড়েছে স্থানীয় বীর গুগালী জামে মসজিদ। ভাঙ্গণ ঝুঁকিতে রয়েছে একটি স্কুলসহ অসংখ্য স্থাপনা। বীর গুগালী জামে মসজিদের মুসল্লিরা ঝুঁকি নিয়ে নামাজ আদায় করছেন। ইতিমধ্যে মসজিদের দক্ষিণ পাশের ২ শতাংশ ভূমির প্রায় ৮ ফুট নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দু মিয়া জানান, শুনছিলাম পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করবে, কিন্তু করেনি। তবে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ মুমীত আসুক নিজ উদ্যোগে মসজিদের পাশের বাঁধে মেরামত কাজ করেছিলেন। এজন্যই এতদিন মসজিদটি টিকেছিল। জুড়ী নদীর তীরে দ্রুত প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ না করলে মসজিদ, স্কুলসহ অসংখ্য স্থাপনা অচিরেই নদী গর্ভে বিলিন হওয়ার আশংকা রয়েছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বীর গুগালী, রানীমোরাসহ জুড়ী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের বেশ কয়েকটি স্থান ঝুঁকিপুর্ণ রয়েছে স্বীকার করে জানান, জুড়ী নদীর ৫০ কিলোমিটার প্রতিরক্ষা বাঁধ পূর্ণবাসন ও ২০ কিলোমিটার ড্রেজিংয়ের জন্য একটি প্রস্তাবনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ প্রস্তাবনার অনুমোদন পাওয়া গেলেই কাজ শুরু করা যাবে।