শামসুল করিম কয়েস ছিলেন একজন হৃদয়বান লেখক গবেষক : ফখরুল আলম
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জুলাই ২০১৯, ১২:৪৩:০৫ অপরাহ্ন
বিশিষ্ট গবেষক শামসুল করিম কয়েস স্মরণে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ আয়োজিত শ্রদ্ধা ও স্মরণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক মো: ফখরুল আলম বলেছেন, শামসুল করিম কয়েস ছিলেন এক হৃদয়বান মানুষ, মানুষের সঙ্গে ছিল তার স্বার্থহীন-অন্তরঙ্গ সম্পর্ক। দীর্ঘদিন লেখালেখি ও গবেষণার কাজ তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে করে গেছেন। তার কোন শত্রু ছিল না। এরকম নিরহংকার-পরোপকারী মানুষ সমাজে খুব কমই আছে।
তিনি বলেন, শামসুল করিম কয়েসের সাহিত্যচর্চা সিলেটের মাটি ও মানুষের নিকটবর্তী ছিল, এজন্য মহাকাল তাকে স্মরণ করবে। এখনো বাংলাদেশের বিভিন্ন বেতার কেন্দ্র থেকে তার লেখা গান প্রচারিত হয়। যদিও তিনি সে গানগুলো বহুবছর আগে লিখেছেন, প্রতিভার দ্যুতি ছড়িয়ে তিনি সবার মাঝে বেঁচে থাকবেন।
বৃহস্পতিবার রাতে সংসদের সহসভাপতি লেঃ কর্ণেল (অব:) সৈয়দ আলী আহমদের সভাপতিত্বে ও সংসদের সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মুকিত অপির পরিচালনায় স্মরণসভায় সংসদের সহ সভাপতি লেখক-গবেষক আবদুল হামিদ মানিক বলেন, তিনি ছিলেন একজন সৃজনশীল মানুষ। তার সৃষ্টিসম্ভার পাঠ করলেই তার লেখার গভীরতা এবং তথ্য সংগ্রহের শ্রম ও সাধনা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এরকম একজন পরিশ্রমী লেখককে হারিয়ে আমরা গভীর শূন্যতা অনুভব করছি। সংসদের সহ সভাপতি মুহম্মদ বশিরুদ্দিন বলেন, মানুষ হারিয়ে গেলে তার মূল্য বুঝা যায়। শামসুল করিম কয়েস ছিলেন আমাদের এক রতœ। সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী বলেন, শামসুল করিম কয়েস একটি আলোকিত পরিবারের সন্তান। তার জীবন কেটেছে লেখালেখি ও সাহিত্য সাধনায়। তরুণ প্রজন্মের লেখকদের তিনি খুবই স্নেহ করতেন, এরকম বড় মনের লেখক-গবেষক আমাদের সাহিত্যে আরেকজন পাওয়া খুবই কঠিন।
গল্পকার জামান মাহবুব বলেন, গণমানুষের কবি দিলওয়ারকে কেন্দ্র করে সিলেটে যে একটি উল্লেখযোগ্য লেখক সমাজ গড়ে ওঠে কয়েস ভাই ছিলেন তাদের অন্যতম। তার বিখ্যাত ছড়ার অংশ- ছাগল দিয়ে করলে জমি চাষ/ ধানের ক্ষেতে ফলবে বরুয়াবাঁশ।
স্মরণসভায় আলোচনায় অংশ নেন সংসদের কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ মুহিবুর রহমান, প্রবীণ কবি এম এ হান্নান, কবি ও সাহিত্য সমালোচক বাছিত ইবনে হাবীব, সাংবাদিক ও সংগঠক আহমেদ বকুল প্রমুখ। স্মরণসভায় মূল প্রবন্ধে সংসদের কার্যকরী পরিষদ সদস্য তরুণ লেখক-গবেষক সৈয়দ মোহাম্মদ তাহের বলেন, শামসুল করিম কয়েসের মৃত্যুতে সিলেট তথা দেশবাসী একজন সৃজনশীল লেখক-গবেষককে হারিয়েছে। তিনি বেঁচে থাকবেন তার সৃষ্টিশীল সাহিত্যকর্মের মাঝে অনাদিকাল।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে তাসলিমা খানম বীথির উপস্থাপনায় সাহিত্য আসরে লেখাপাঠে অংশ নেন সিরাজুল হক, ইছমত হানিফা চৌধুরী, বেলাল আহমদ চৌধুরী, কামরুল আলম, কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল, জুই ইসলাম, ফতহুল করিম হাসান, আব্দুল কাদির জীবন, জেনারুল ইসলাম, জুবের আহমদ সার্জন, বরাতুল ইসলাম, মো: আমিনুল ইসলাম, লুৎফা আহমদ লিলি, সালমা আক্তার লিজা, জাওয়াদুর রহমান, সৈয়দ আলতাফ হোসেন খলকু, মকসুদ আহমদ লালা, হিমেল মাহমুদ, সম্রাট তারেক, কামরুল হাসান সৈয়দ, মো: বাহাউদ্দিন বাহার। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কামাল আহমদ। বিজ্ঞপ্তি