আমরা কমিশন খাওয়ার দেশ : মেনন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ জুলাই ২০১৯, ১:৫৪:১৯ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক:
বাংলদেশকে কমিশন খাওয়ার দেশ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ-কোরিয়া ফ্রেন্ডশিপ অ্যান্ড সলিডারিটি কমিটির আয়োজনে উত্তর কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট কিম ইল সাং এর স্মরণসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে দিনাজপুরের মধ্যপাড়ায় পাথর উত্তোলনের জন্য একটা প্রজেক্ট করা হয়েছিল। সে সময় তারা অনেক সমস্যায়, অনেক জটিলতায় পড়েছিলো। আমি এ কথাগুলো বিএনপি সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানকে বলেছিলাম। তিনি হেসে বলেছিলেন, ‘ওটা একটা ফকিরের দেশ। এরা আবার আমাদের এখানে কি করে?’ সেই উত্তর কোরিয়া আমাদের দেশের মাটির গভীর থেকে পাথর উত্তলন করেছে। তারা সে পাথর থেকে উচ্চমানের এক ধরণের পাথর নিয়ে এসেছে। সে পাথরকে ভালোভাবে প্রক্রিয়াজাত করলে আমরা বিদেশে রফতানি করতে পারতাম। কিন্তু আমরাতো সে দেশ নই। আমরা তো কমিশন খাওয়ার দেশ। আমাদের নাকি ওয়াটার বোটে করে বিদেশ থেকে পাথর আমদানি করতে হবে। ইন্দোনেশিয়া থেকে, ভারত থেকে, না হয় অন্য কোন দেশ থেকে পাথর আনতে হবে। কারণ এই পাথর আনার মধ্যে তাদের কমিশন থাকবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের পাথর দিয়ে বাঁধ নির্মাণ, বন্যা নিয়ন্ত্রণসহ অনেক কাজে ব্যবহার করা যাবে। আমাদের দেশের পাথর ইউরোপে রফতানি করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আনতে পারতাম। কিন্তু আমাদের দেশের পাথর স্তুপ হয়ে পড়ে থাকে। কেউ কেনে না। কিনতে গেলে তাদের কমিশন চলে যাবে।’
এসময় মেনন আরও বলেন, যখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বললেন, উত্তর কোরিয়াকে নিশ্চিহ্ন করে দাও, তখনও আমাদের বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনি। কারণ জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আছে। ট্রাম্পের কথায় যুদ্ধ হলে, আমাদের অস্তিত্ব কী থাকতো? আমরা সবকিছু করতে পারছি, বুঝতে পারছি কিন্তু উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে কোন কথা বলছি না। যেখানে উত্তর কোরিয়ারও ট্রাম্পের মধ্যে পরপর তিনটি বৈঠক হয়েছে। কোরিয়াকে নিরস্ত্রকরণ প্রক্রিয়ায় নেয়া হয়েছে, বাংলাদেশ শান্তিকামী দেশ হিসেবে উত্তর কোরিয়ার পাশে দাঁড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কোরিয়া-ফ্রেন্ডশিপ অ্যান্ড সলিডারিটি কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন কোরিয়ার ডিপিআর রাষ্ট্রদূত পাক সং ইয়প, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, অর্থনীতিবিদ ড. অশোক গুপ্ত প্রমুখ।
বঙ্গোপসাগরে ৩ ট্রলার ডুবি, নিখোঁজ ৫
জালালাবাদ ডেস্ক ঃ বৈরী আবহাওয়ায় বঙ্গোপসাগরে আকস্মিক ঝড়ের কবলে পরে ৩০ জেলেসহ তিনটি ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। ওই তিন ট্রলারে থাকা ৩০ জন জেলের মধ্যে পাঁচ জন জেলে এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন। বাকিদের উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা সংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগরে পৃথকভাবে তিন ট্রলার ডুবির এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের সেলিম মাঝির একটি ফিশিং ট্রলার মাছ ধরার উদ্দেশ্যে গভীর বঙ্গোপসাগরে যায়। শুক্রবার দুপুরে হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। ওই ট্রলারের মো. হাসান (১৭) ও মো. মিজান (২৫) নামের দুই জেলে এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন। এদিকে উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের মিজান ফকিরের মায়ের দোয়া নামের ফিশিং ট্রলারটি গভীর রাতে বঙ্গোপসাগরে প্রচন্ড ঢেউয়ের তোড়ে উল্টে যায়। এতে ট্রলারে থাকা ১৪ জেলে পানিতে ডুবে যায়। পরে ভারতীয় একটি ট্রলারের লোকজন ১২ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ওই ট্রলারে থাকা দুই জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। অপরদিকে উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের সোহরাব প্যাদার একটি ফিশিং ট্রলার ১৩ জন জেলে নিয়ে গভীর বঙ্গোপসাগরে ডুবে গেছে। এর মধ্যে ১২ জন উদ্ধার হয়েছে। বাকি একজন নিখোঁজ রয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাঙ্গাবালী থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আলী আহম্মেদ জানান, তিনটি ট্রলার ডুবির তথ্য আমাদের কাছে এসেছে। নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।