নবীগঞ্জে শিক্ষা কর্মকর্তার বাসায় রহস্যজনক চুরি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ জুলাই ২০১৯, ২:২৯:৪২ অপরাহ্ন
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ::
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সায়মা সুলতানার বাসায় দিন-দুপুরে রহস্যজনক চুরি সংঘটিত হয়েছে। গতকাল রোববার উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থিত মোতালিব ভবন নামের ভাড়াটি ওই বাসায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ সময় চোরচক্র বাসায় থাকা নগদ আড়াই লক্ষ টাকা, ৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও একটি দামী মোবাইল ফোন নিয়ে যায় বলে জানান শিক্ষা কর্মকর্তা সায়মা সুলতানা ও তার স্বামী ব্যাংক কর্মকর্তা আঃ কালাম।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে শহরের ওসমানী রোডস্থ উপজেলা পরিষদের সামনে মোতালিব ভবনের ৩য় তলায় ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন ওয়ান ব্যাংক কর্মকর্তা উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের সিট ফরিদপুর গ্রামের আবুল কালাম ও তার স্ত্রী নবীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সায়মা সুলতানা। তারা দু’জনই দিনে থাকেন অফিসে। তারা জানান, গতকাল সকালে তারা দুজনই স্ব-স্ব কর্মস্থলে চলে যান। ঘরে ছেলে ও মেয়ের সাথে থাকেন ফরিদা নামের তার এক বোন। ফরিদা বেগম তাদের ছেলে-মেয়েকে প্রতিদিনের ন্যায় উপজেলা শিশু শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমিতে নিয়ে যান। স্কুল থেকে ফিরে দেখেন মূল দরজার তালা ভেঙ্গে এবং ভেতরে আলমারি, ওয়ারড্রবের সব কিছু তছনছ করে রাখে। সংবাদটি নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে।
সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সায়মা সুলতানা জানান, তিনি ক্লাস্টারে ক্লাস করাচ্ছিলেন। এ সুযোগে চোরেরা ঘরের মূল দরজা ভেঙে ৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, আড়াই লক্ষ টাকা ও স্যামসাং ব্র্যান্ডের একটি দামী মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। শহরের মূল সড়কে অবস্থিত বাসাটিতে একাধিক পরিবারের বসবাস থাকা সত্ত্বেও দিন দুপুরে এমন ঘটনাকে রহস্যজনক বলেও মনে করছেন অনেকেই। এ ছাড়া প্রায় ১২ দিন পূর্বে উপজেলা কমপ্লেক্সের ভিতরে উপজেলা সার্ভার স্টেশন ও একটি বাড়ি একটি খামারের অফিসে চুরির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার কমপ্লেক্সের সামনেই দিন-দুপুরে কর্মতার বাসায় চুরির ঘটনার অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অপরদিকে নবীগঞ্জ থানার এস আই সামছুল ইসলাম বলেন- চোর চক্রকে সনাক্ত করে তাদেরকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অচিরেই চোরদের ধরা সম্ভব হবে।