তাহিরপুরে অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে কোটি টাকার বালি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ জুলাই ২০১৯, ৩:২১:২০ অপরাহ্ন
তাহিরপুর সংবাদদাতা::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় সরকারীভাবে নদী থেকে উত্তোলনকতৃ বালি দিয়ে ভরাাটকৃত নীচু জায়গার বালি আবার বিক্রি করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। বালু বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার হাতিয়ে নিচ্ছে ঐ চক্র। আর সরকারীভাবে বিনামূল্যে নীচু জায়গা। গর্ত ভরাট করার কথা থাকলেও টাকা ছাড়া কোন জায়গা ভরাট করছে না সরকারী ড্রেজারে দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজুসহ তার সহযোগীরা। টাকা দিয়েই ভরাট হচ্ছে আর সেই ভরাটকৃত জায়গার বালি টাকার বিনিময়ে অন্যত্র বিক্রি হচ্ছে। যারা বালি কিনে জায়গা ভরাট করেছে তারাই বলছে এমন কথা। এ নিয়ে এলাকা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, উপজেলার বৌলাই নদীতে খনন কাজে নিয়োজিত সরকারী ড্রেজার। ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালি উত্তোলন করে কৌশলে বালুখেকা চক্ররা দীর্ঘদিন ধরেই উপজেলার দক্ষিণ কুল, হোসেনপুর, সীমানা, মাহতাবপুর, পিরুজপুর গ্রামের নীচু ও খালি জায়গা বালি ভরাট করেছে টাকার বিনিময়ে। আর জায়গা ভরাট করার কথা বলে বালু মজুদ করছে কৌশলে। পরে ভরাটকৃত জায়গা থেকে সেই বালু ড্রেজার দিয়ে নৌকায় তুলে অন্যত্র পাঠিয়ে দিচ্ছে বিক্রির জন্য। এমন সংবাদ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক সরজমিন তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে হুমকি প্রদর্শন করে ঐ সংঘবদ্ধ চক্র।
মাহতাবপুর গ্রামের কবর স্থানের পাশে, সুনামগঞ্জ জেলার সহকারী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল শহীদ ও সাইদুল ইসলামসহ আর কয়েক জনের বাড়ির গর্তগুলো ড্রেজারে ভরাট করা হয়। সেই ভরাটকৃত জায়গা থেকে কয়েকদিন ধরেই দিন-রাত নিজের ব্যক্তিগত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে নৌকায় বালি তুলে নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে ভরাটকৃত জায়গা আবার গর্তে পরিণত হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন জানান, গরীব, অসহায়, হতদরিদ্র পরিবারের গর্তস্থান সরকার ভরাট করে দিলেও সেই গর্তের বালি বিক্রি করছে প্রভাবশালীরা।
নদী সরকারী ড্রেজার কাজে নিয়োজিত ও দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজু বালু বিক্রির বিষয়ে বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি সরকারী নিয়ম অনুযায়ী কাজ করছি।