ওসমানীনগরে ধর্ষককে বাঁচাতে গিয়ে একই পরিবারের ৩ জন গ্রেফতার
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ জুলাই ২০১৯, ২:৪২:৪৬ অপরাহ্ন
ওসমানীনগর প্রতিনিধি ::
ওসমানীনগরে অসহায় আপন খালাতো বোনকে ধর্ষণের পর ধর্ষককে বাঁচাতে বাড়ি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার অভিযোগে একই পরিবারে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ৩ জন হলেন, উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের নগরীকাপন গ্রামের মৃত মস্তাব আলীর স্ত্রী ও অভিযুক্ত মাসন মিয়া (২৫) এর মা রানা বেগম (৫০), চাচা গোলাম আলী (৪৫) ও কুদ্দুছ আলী (৩৭)।
ওসমানীনগর থানা পুলিশ ও ভিকটিমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের নগরীকাপন গ্রামের মৃত মস্তাব আলীর ছেলে মাসন মিয়ার বাড়িতে থাকতো তার এক অসহায় খালাতো বোন। দীর্ঘদিন ধরে একই পরিবারে থাকার সুযোগে মাসন মিয়ার কুনজর পড়ে তার ঐ খালাতো বোনের উপর। এক পর্যায়ে খালাতো বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে সে শারীরিক মেলামেশা করলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। বিষয়টি বাড়ির লোকজন জানলে পরে মেয়েটিকে মাসন মিয়ার সাথে বিয়ে দেবেন বলে ৭/৮ মাস সময় অতিক্রম করেন। এক পর্যায়ে মাসন মিয়ার মা রানা বেগম ও চাচা গোলাম আলী এবং কুদ্দুছ আলী ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত মাসন মিয়াকে বাঁচাতে বাড়ি থেকে অন্যত্র সরিয়ে দেন। অন্যদিকে ভিকটিম অসহায় মেয়েটিকেও ছেলের সাথে বিয়ে না দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। গত ৮ জুলাই ভিকটিম মেয়েটি ওসমানীনগর থানায় এসে ধর্ষণের অভিযোগ এবং পরিবারের লোকজনের প্রতারণা ও ছল ছাতুরির অভিযোগ এনে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
মঙ্গলবার সকালে ওসমানীনগর থানা পুলিশ ভিকটিমের অভিযোগ মামলার নথিভূক্ত (মামলা নং-০৫) করে প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে ছেলেকে বাড়ি থেকে দুরে সরিয়ে রাখার অভিযোগে নগরীকাপন গ্রামে মাসন মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন। গতকাল সকালে গ্রেফতারকৃতদের সিলেট কোর্টে চালান করা হলে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরন করেন। ভিকটিম মেয়েটি ৭/৮ মাসের গর্ভবতী থাকায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওসমানীনগর থানার অফিসার্স ইন্চার্জ এস এম আল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।