জাহালমের কারাভোগের দায় দুদকেরই
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ জুলাই ২০১৯, ২:৩১:৫৩ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক :
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত কর্মকর্তার ভুলের কারণে আসামি না হয়েও জাহালমকে কারাভোগ করতে হয়েছে বলে দুদকেরই তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, ‘জাহালমকে আবু সালেকরূপে চিহ্নিত করার যে ভুলটি হয়েছে, তা দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কারণেই ঘটেছে।’ বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে তদন্ত প্রতিবেদনটি দাখিলের পর বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ শুনানির জন্য আগামী মঙ্গলবার দিন রেখেছে।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। জাহালমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত। ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান। জাহালমকা-ে কে বা কারা দায়ী তা দেখার জন্য গত ১৭ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিবেদন চেয়েছিল আদালত।
আদেশ অনুযায়ী দুদকের তদন্ত কমিটির প্রধান আবুল হাসনাত মো. আব্দুল ওয়াদুদের প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার আদালতে দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে কমিটির প্রধান বলেন, “সার্বিক বিবেচনায় আমার নিকট প্রতীয়মান হয়েছে যে, জাহালমকে আবু সালেকরূপে চিহ্নিত করার যে ভুলটি হয়েছে, তা দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কারণেই ঘটেছে।”
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ অলম খান প্রতিবেদনের বিষয়ে বলেন, ‘আমার কছে মনে হয়েছে যে, সমন্বয়হীনতার কারণেই এমনটা হয়েছে। জাহালম তিন বছর জেল খেটেছে- এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। এখন এর জন্য কে কতটুকু দায়ী তা আদালত নির্ধারণ করবেন।’
অমিত দাস গুপ্ত সংবাদ মাধ্যমকে বলে, ‘দুদক স্বচ্ছভাবেই তদন্তটা করেছে বলে আমি মনে করি। প্রকৃত দোষীদের বের করে আনার জন্য তদন্তে সঠিক প্রয়াস ছিল বলেই মনে হয়েছে। ভবিষ্যতে দুদক যাতে এরকম ভুল আর না করে তার জন্য সুপারিশও আছে প্রতিবেদনে। সেই সুপারিশগুলোর বাস্তবায়ন হলে এমনটা আর ঘটবে না বলে আমি মনে করি। যেখানে দুদক নিজেই নিজেদের দায় স্বীকার করে নিয়েছে।”
সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে আবু সালেক নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা করে দুদক। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তাদের ভুলে সালেকের বদলে তিন বছর ধরে কারাগারে কাটাতে হয় টাঙ্গাইলের জাহালমকে।