জামালগঞ্জে পানি বন্দী শতাধিক গ্রামের মানুষ উপজেলা সদরের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ জুলাই ২০১৯, ২:৫৬:১৩ অপরাহ্ন
তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ, জামালগঞ্জ থেকেঃ কয়েক দিনের টানা ভারি বর্ষণে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের হাওরের নিভৃত পল্লীগুলো প্লাবিত হয়ে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে শতাধিক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। হাওরের বহু গ্রামের বাড়িতে পানি প্রবেশ করায় বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে।
পানিবন্দী পরিবারগুলোতে নেমে এসছে বিপর্যয়। যে দিকে চোখ যায় চারি দিকে থৈ-থৈ পানি। কোথাও কোথাও বিভিন্ন গ্রাম দেখে মনে হচ্ছে হাওরে বুকে যেন ভেসে আছে দ্বীপ। জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, ধর্মপাশা ও দিরাই হাওরের গ্রামগুলোতে বন্যা কবলিত মানুষের মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ ও সাচনা-সুনামগঞ্জ সংযোগ সড়ক পনিতে ডুবে বসত বাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমনের বীজতলা পানিতে ডুবে গেছে। বসত ঘরে পানি উঠায় অনেকেই গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগী নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। উপজেলা সদরের সাথে ৬ ইউনিয়ন ফেনারবাঁক, ভীমখালী, বেহেলী, সাচনা, উত্তর ইউনিয়নের হাজার-হাজার মানুষের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। হাট-বাজারে পানি ওঠার কারণে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়তই।
উপজেলার ফেনারবাঁক, শান্তিপুর, পশ্চিম ফেনারবাঁক, ভেদরপুর, হঠামারা, নাজিমনগর, উদয়পুর, লক্ষিপুর, ইনাত নগর, বীণাজুরা, খুজারগাঁও, মাতারগাঁও, রসুলপুর, রাজাপুর, সাচনা ইউনিয়নের রক্তির পাড়, শামীম নগর, হরিয়ারপুর বাগ হাটি, চানপুরসহ বাবনগাঁও, জামলাবাজ. নূরপুর, মফিজনগর, ফতেহ পুর, বেহেলী ইউনিয়নের নিতাইপুর, হিজলা, নোয়াপাড়া, দুর্গাপুর, হরিপুর, আছানপুর নয়াপাড়া, হাওরিয়া আলীপুর, রাধানগর পশ্চিম পাড়া, পুঁটিয়া। উত্তর ইউনিয়নের, ইনছানপুর, মমিনপুর, সদর কান্দি, কালিপুর পশ্চিম পাড়া, কালীবাড়ি। সদর ইউনিয়নের তেলিয়া, লামাপাড়া, কাশিপুর, চানপুর ভুইয়ার হাটি, আবুর হাটি, সোনাপুর, কদমতলী, উমেদপুর, মোহনপুর। ভীমখালী ইউনিয়নের হারার কান্দি পশ্চিম পাড়া, ফেকুল মাহমুদপুর নতুন পাড়া, গোলামীপুর মুচিপাড়া, তেরানগর নতুন পাড়া, শ্রীপুর দক্ষিণ পাড়া সহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। ফেনারবাঁক ইউপি সচিব অজিত কুমার রায় জানান, ইউনিয়নের প্রায় বেশীর ভাগ গ্রামই প্লাবিত হচ্ছে। কিছু-কিছু নীচু গ্রামের উঠানে পানি উঠেছে। হঠামারা-নাজিম নগর, বিষ্ণুপুর গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবার তাদের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িঘর ও স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে পরিদর্শন করা হচ্ছে। শুক্রবার থেকে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে। এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে একাধিকবার ইউএও’র সরকারী মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে বন্ধ পাওয়ায় কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।