মরক্কোর ‘তাঙ্গের মেড’ : ভূমধ্যসাগরের সর্ববৃহৎ সমুদ্র বন্দর
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ জুলাই ২০১৯, ৮:৪৭:২৬ অপরাহ্ন
মরোক্কোর ‘টাঙ্গের মেড পোর্ট’ নামক তাঞ্জিয়ার পোর্ট ভূমধ্যসাগরের সর্ববৃহৎ সমুদ্র বন্দর হতে চলেছে। এটা চালু হলে পোর্টটি কন্টেইনার ক্যাপাসিটির দিক দিয়ে আলজেসিরাস ও ভ্যালেন্সিয়া সমুদ্র বন্দর দু’টিকে ছাড়িয়ে যাবে। তাঙ্গের মেড-এ নতুন টার্মিনালসমূহ চালুর ফলে তাঞ্জিয়ার পোর্টের বার্ষিক মালবহন ক্যাপসিটি দাঁড়াবে প্রায় সাড়ে ৯ মিলিয়ন টুয়েন্টি-ফীট ইক্যুভ্যালেন্ট ইউনিট (টিইইউ)। ২০১৮ সালে এর পরিমাণ ছিলো সাড়ে ৩ মিলিয়ন টিইইউ।
সমুদ্র বন্দরের এই সম্প্রসারণ কার্যে ব্যয় হবে ১৫ হাজার কোটি টাকা। মরক্কোর প্রত্যাশা, এই সমুদ্র বন্দর স্থানীয় রফতানী ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ফরাসী কোম্পানীর কার রেনোল্ট এসএ এবং পিউগিয়ট এস-এর পণ্য রফতানীতে অবদান রাখবে। এভাবে এটা স্পেনের দক্ষিনাঞ্চলীয় আল জেসিরাস-এর মতো চলতি বছরের শেষ নাগাদ এর টিইইউ দাঁড়াবে সাড়ে ৪ মিলিয়ন। এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার শিপিং ফার্মগুলো এই বন্দর ব্যবহারে উপকৃত হবে।
ভূমধ্যসাগরের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত এ সমুদ্র বন্দরের পরিচালক রাচিদ হোয়ারি বলেন, আশা করি আমরা বছরে আরো দশ লাখ কনটেইনার মাল যোগ করতে সক্ষম হবো। শুুধু মূল টার্মিনাল মাত্র ৬ বছরের মধ্যে ৩ মিলিয়ন টিইইউ-তে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। কনটেইনারসমূহের শতকরা ৯০ ভাগ বন্দরসমূহের মাধ্যমে অন্যান্য গন্তব্যগুলোতে পরিবহন করা হয়।
সবচেয়ে বড়ো মার্কেট হচ্ছে পশ্চিম আফ্রিকা, যা শতকরা ৪০ ভাগ- যেখানে মরক্কোর ফার্মসমূহ সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। এই মার্কেটের ২০ ভাগ ইওরোপ ও ১০ ভাগ আমেরিকায়। উল্লেখ্য, মরক্কো প্রথম টার্মিনালে ১০০ কোটি ইউরো বিনিয়োগ করে, যাতে প্রায় ৬ শ’ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় বন্দরে। এলাকার একটি ব্যবসা অঞ্চলে কর্মসংস্থান হয় আরো ৭০ হাজার লোকের। বন্দরটি মরক্কোর প্রধান নগরী তাঞ্জিয়ার থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। এছাড়া তাঞ্জিয়ারে একটি প্রসিদ্ধ ফেরী টার্মিনাল রয়েছে, যার মাধ্যমে প্রতিদিন ৪০ হাজার লোক পারাপার হন। গ্রীষ্মকালে ইওরোপে বসবাসকারী মরক্কোর মানুষ এই ফেরীর মাধ্যমে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেন। টার্মিনালগুলো পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে এপিএম টার্মিনাল। এগুলোর মালিক ডেনমার্কের মায়ের্স্ক, জার্মানীর ইওরোগেট এবং স্থানীয় একটি ফার্ম।
অনুবাদ : নিজাম উদ্দীন সালেহ
সূত্র : আফ্রিকান লিডারশীপ ম্যাগাজিন