নিয়ম মেনেই মার্কেট নির্মাণ করেও কুচক্রি মহলের অপপ্রচারে বিপর্যস্ত শায়েস্তা মিয়া
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জুলাই ২০১৯, ১২:৫৩:০৯ অপরাহ্ন
কস্টার্জিত অর্থ দেশে বিনিয়োগ করে সব নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসলেও সম্প্রতি একটি চক্রের অপপ্রচারে বিপর্যস্ত শায়েস্তা মিয়া। তিনি নগরীর কাস্টঘরের আলখাজা মার্কেট এবং মহাজনপট্টির নিউ মার্কেটের সত্বাধিকারী। ভাড়াটিয়া কথিত কবিরাজ কানু পালকে বিভিন্ন অভিযোগে মার্কেট থেকে বের করে দেয়াতে সময় নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতির হুমকিসহ অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া যে কোনো সময় পরিবারের ও মার্কেটের ক্ষতি করতে পারে বলেও শঙ্কায় আছেন তিনি।
শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবের আমিনুর রশীদ চৌধুরী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এমন কথা জানান মো. শায়েস্তা মিয়া। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১ মে তার মালিকানাধীন আল খাজা মার্কেটের আন্ডারগ্রাউন্ডে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডের পর সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, স্থানীয় মহাজনপট্রি ও কাস্টঘরের ব্যবসায়ীরা, এলাকার লোকজন ও সাংবাদিকরা গিয়ে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেন। সুতোর দোকান থেকে আগুন লাগলেও একটি মহল ক্যামিকেলের গোডাউন থেকে অগ্নিকান্ড ঘটছে প্রচার করে।
তিনি আরও বলেন, আল-খাজা মার্কেটের গ্রাউন্ড ফ্লোরের কিছু ক্যামিকেলের জিনিসপত্র ছিলো। তবে- আমার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা সতর্কতার সঙ্গেই ওই জিনিসপত্র রেখেছিলেন। ওই দিন আগুন ক্যামিকেলের জিনিসপত্র পর্যন্ত ছড়ায়নি। তার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। ঘটনার পর দিনই আমরা ক্যামিকেলের জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলেছি। সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট গিয়েও ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দিয়ে আসেন। এরপর থেকে আমরা মার্কেটের গোডাউনে কোনো জিনিসপত্র রাখছি না। আন্ডারগ্রাউন্ড মার্কেটের পার্কিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। ৫ তলা বিশিষ্ট মার্কেটের ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা ৪টি সিঁড়ি রয়েছে। সঙ্গে ইমার্জেন্সি এক্সিট সিড়িও রয়েছে। আগে থেকেই মার্কেটে অগ্নিনির্বাপকের ৯টি যন্ত্র ছিলো। আগুন লাগার সময় এগুলো কাজ করেছে। পরে আমরা আরো ৯টি যন্ত্র কিনেছি। এখন মোট ১৮টি যন্ত্র রয়েছে। আন্ডার গ্রাউন্ডে একটি ইর্মাজেন্সি ট্যাংকিতে সব সময় পানি ভর্তি থাকে। প্রতি তলায় অগ্নি নির্বাপনের জন্য মোটরযুক্ত পানির পাইপ রয়েছে। ভবনের ৭ তলা ফাউন্ডেশন থাকলেও ৫ তলা পর্যন্ত করা হয়। ব্যবসায়ী ও বসবাসকারী মানুষের স্বার্থে আমরা ভবন ঝুঁকিমুক্ত আছে। ভবিষ্যতেও আমাদের ভুলের কারনে মার্কেট ঝুকির মুখে ফেলতে চাই না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মার্কেট পূর্বে থেকে বর্তমানেও পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত আছে। মার্কেটটি সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে। কিন্তু পূর্বের ভাড়াটিয়া কানু পাল আমাদের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। কানু পাল আমার মার্কেটের ভাড়াটে ছিলো কিন্তু এবার আগুন লাগার পর কানু পাল অভিযোগ করেন- আমরা তাদের মার্কেট থেকে বাসা ছেড়ে যেতে দেই না। জোরপূর্বক তাদের আটকিয়ে রেখেছি। আমরা তাৎক্ষনিক সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের সামনে তাকে বিদায় দেই। এবং বলি- আমি কাউকে জোরপূর্বক বসবাসে বাধ্য করছি না। এর আগে কানু পাল মার্কেটে কবিরাজি চিকিৎসা করতো। তার বেহায়াপনা চিকিৎসা কার্যক্রমে ক্ষুব্ধ ছিলেন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে কানু পালকে নিয়ে মার্কেটে বৈঠক হয়েছে। ওই সময় আমরা মার্কেটের ব্যবসায়ীদের পক্ষে ছিলাম বলে কানু পাল আমাদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলো। পরবর্তীতে যখন আমরা নোটিশ দিয়ে আবাসিক ফ্ল্যাট থেকে বিদায় দিয়ে দেই তখন কানু পাল আমাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন সহ বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করে হেনস্থা করার চেষ্ঠায় ব্যস্ত রয়েছে। কানু পাল সহ তার সহযোগিরা যেসব অভিযোগ করছে- সেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই।’
তিনি বলেন, কানু পাল বৈধ মার্কেট অবৈধ আখ্যায়িত করে একের পর এক অভিযোগ দিচ্ছে বিভিন্ন দপ্তরে। সে প্রচার করছে এই মার্কেট অনিরাপদ, অবৈধ। কানু পালের বেহায়াপনা চিকিৎসা কার্যক্রমে ক্ষুব্ধ ছিলেন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। তাই অভিযোগ পেয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের সামনে তাকে বিদায় করা হয়। আবাসিক ফ্ল্যাট থেকে বিদায় দেওয়ায় কানু পাল আমাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন সহ বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করে হেনস্থা করার চেষ্ঠায় ব্যস্ত রয়েছে। এ ব্যাপারে ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে ৯ জুলাই কোতোয়ালি থানায় জিডি করা হয়েছে। তিনি তার বিরুদ্ধে করা অপপ্রচারের প্রতিকারও চেয়েছেন। বিজ্ঞপ্তি