বেদে শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বিদ্যাবাড়ি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জুলাই ২০১৯, ২:০২:৩৪ অপরাহ্ন
সংবাদদাতা:
বেদে শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে গোলাপগঞ্জের কদমতলী বেদে পল্লীতে চালু হয়েছে সবুজ বিদ্যাবাড়ি নামের একটি স্কুল। আর এর উদ্যোগ নিয়েছেন সিলেটের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া তাসমিনা, তানভির, সাদেকুর, আহমদ, বর্ষা খাতুন, জুবায়দা খাতুন, সোহেল রানা, মারুফ আহমদ। তারা ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট এ স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। এতে যোগ দিয়েছেন তরুণ সমাজসেবী রিপন মিয়া। এর পূর্ব স্কুলটিকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন বুনেছিলেন ট্রেন দূর্ঘটনায় নিহত ফাহমিদা ইয়াসমিন ইভা।
বেদে পল্লীতে ৩০টি পরিবারের বসবাস। ২৮ জন শিক্ষার্থী নিয়ে দুই শিক্ষকের মাধ্যমে চলছে এ স্কুলের পাঠদান। মাঝে মধ্যে স্কুল প্রতিষ্ঠাকারীরাও এখানে এসে এসব শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেন। বর্তমান স্কুলের বই, খাতা, কলম, পেন্সিল ইত্যাদি শিক্ষা সামগ্রী এই ৮ জন বহন করে যাচ্ছেন। দুই শিক্ষকের মধ্যে এক শিক্ষকের বেতন পরিশোধ করছেন গোলাপগঞ্জ পৌর মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল এবং অন্যজনকে পরিশোধ করছেন প্রতিষ্ঠাতারা।
এ স্কুল বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করা হলেও সন্তানরা শিক্ষার সুযোগ পাওয়ায়, স্বপ্ন বুনছেন অভিভাবকরা। এমন উদ্যোগের ফলে খুশি শিক্ষার্থীরা।
প্রতিষ্ঠাকারীরা মনে করেন, জীবন জীবিকার তাগিদে পরিবার-পরিজন নিয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুরে বেড়ানোর কারণে বেদে পরিবারের শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পূর্বপুরুষের পেশা সামাজিক অবজ্ঞা ও অশিক্ষিত অভিভাবকদের সচেতনতার অভাবে বংশ পরম্পরায় তারা অশিক্ষিতই থেকে যাচ্ছে। শিক্ষাগ্রহণের মতো মৌলিক অধিকার থেকে বরাবরই বঞ্চিত থাকে তারা। একজন কোমলমতি শিশুর যখন খেলা করার কথা, থাকার কথা হাতে বই-কলম ঠিক তখনই বেদে শিশুদের হাতে তুলে দেয়া হয় সাপের ডালা।
অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তাসমিনা বলেন, কোনো অভিভাবক চায় না তার সন্তান অশিক্ষিত থাকুক। যে আয় হয় তাতে সন্তানদের লেখাপড়া চালানো কঠিন। অভিবাবকরা মনে করে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করলে তাদের শিশুরা লেখাপড়া শিখতে পারত। তাই বেদে শিশুদের স্বাক্ষর জ্ঞান দান করতে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা দরকার। রিপন আহমদ জানান, এখানে কোন শ্রেণি কক্ষ নেই।