দক্ষিণ সুরমায় যুবক অপহরণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষ মুখোমুখি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জুলাই ২০১৯, ২:২৫:০০ অপরাহ্ন
আশরাফুল ইসলাম ইমরান, দক্ষিণ সুরমা থেকে :
দক্ষিণ সুরমার সিলামে যুবক অপহরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩ গ্রামে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুই পক্ষ এখন মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে সভা করে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে উভয়পক্ষ। বিবাদমান দুই গ্রামবাসীর মধ্যে যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করা হচ্ছে।
গতকাল ১৩ জুলাই শনিবার ইলাশপুর প্রাইমারী স্কুলে খালেদের গ্রামবাসী ২ শতাধিক লোক নিয়ে বৈঠক করেছে। অপর পক্ষ রুস্তমপুর গ্রামের শামির আহমদের বাড়িতেও বৈঠকের খবর পাওয়া গেছে। দুই পক্ষের বৈঠক পরথেকেই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
গত বুধবার রাতে খালেদ অপহৃত হলে রাতেই টহল পুলিশ অভিযান চালিয়ে খালেদকে উদ্ধার করে। একই রাতে একই এলাকা থেকে খালেদের বন্ধু কামরান নিখোঁজ হয়। কামরান ও খালেদ এক সাথে চলাফেরা করতো। খালেদকে পুলিশ উদ্ধার করলেও নিখোঁজ রয়ে যায় কামরান। একদিন পর শুক্রবার সকালে তার বাড়ির পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় কামরানের শরীরে আঘাতে একধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার চোখে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অপহরণ ও খুনের ঘটনা একই সুত্রে গাঁথা কিনা এনিয়ে নানা রহস্য দেখা দিয়েছে। অপহরণকারীদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিলে খুনের আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে স্থানীয় একাধিক সুত্র বলছে। তবে বিষয়টি অনেকে জানলেও এলাকার কেউই ভয়ে মুখ খুলছেনা।
সিলাম ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই শান্ত জনপদ হঠাৎ করে উত্তপ্ত হওয়ায় জনমনে আতংক বিরাজ করছে। অপহরণ ও খুনের এই ঘটনার ৩ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ নতুন করে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ফলে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ বিরাজ করছে। নিহতের পরিবারের দাবি নিখোঁজের পর পুলিশ তৎপরতা চালালে কামরানকেও জীবিত উদ্ধার করা যেত। স্থানীয় ইউপি সদস্য কয়েছ আহমদ পুলিশকে বিষয়টি জানালে গুরুত্ব দেয়নি। ফলে হত্যাকান্ডের মতো অপরাধ সংঘটিত হয়।
গতকাল শনিবার সরেজমিন গেলে দেখা যায়, গোয়ালগাঁও গ্রামে সোনসান নিরবতা। অপরিচিত কাউকে দেখলে কেউ কোন কথা বলছেনা। মোগলাবাজার-লালাবাজার সংযোগ সড়কের নিকটে গোয়ালগাঁও গ্রামে কামরানের বাড়ি। ঘাতকরা পরিকল্পিতভাবে অন্যত্র খুন করে কামরানকে পুকুরে ফেলে রাখে।