দুর্গত মানুষের পাশে দাড়াতে হবে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ জুলাই ২০১৯, ৫:২৮:০৮ অপরাহ্ন
দুর্গত মানুষের পাশে দাড়াতে হবে
।। মুহাম্মদ আবদুল হামিদ ।।
কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের এক তৃতীয়াংশ এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বিভিন্নস্থানে ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। কোটি মানুষ পানিবন্ধী হয়ে পড়েছেন। সর্বত্র পানি আর পানি। অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায় মানুষের ঘরের চাল বরারর পানির চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। বাড়ি-ঘর ছেড়ে উঁচু জায়গার খুজে অগণিত দুর্গত মানুষ। মাঠ-ঘাট সর্বত্র পানি থাকায় গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন দুর্গত এলাকার লোকজন। দুর্ভোগ চরমে। বিপর্যস্ত জনজীবন।
বিশেষকরে সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বলা হচ্ছে ২০০৪ সালের পর এই প্রথম সুনামগঞ্জে এতো বেশি পানি হয়েছে। বাড়ি-ঘর, পথ-ঘাট, খেলার মাঠ, হাট-বাজার সর্বত্র জল থৈ থৈ। দুই জেলার প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্ধী হয়ে পড়েছেন। শত শত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আমাদের দেশ নদীমাতৃক দেশ। নদীর সাথে এ দেশের মানুষের মধুর মিতালী। বর্ষায় ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ী ঢলে দেশের নদ-নদী, হাওর-বাওর, খাল-বিল পানিতে কানায় কানায় ভরে যায়। মাঝে মধ্যেই নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে। ফলে কোন কোন স্থানে বন্যা দেখা দেয়। কখনো কখনো বন্যার স্বাভাবিক মাত্রা অতিক্রম করে। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অতীতে অনেকবার এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল। একেকটা দুর্যোগ সাধারণ মানুষের জন্য কত দুর্ভোগের তা একমাত্র ভুক্তভোগীরাই অনুভব করতে পারেন।
বন্যাকবলিত এলাকার মানুষকে একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সর্বত্র পানি থাকায় বিষধর সাঁপ, শেয়াল, পোকা ইত্যাদি ক্ষতিকর প্রাণী যেখানে সেখানে আশ্রয় নিতে পারে।
এসব প্রাণীর আক্রমণ থেকে নিজে বাঁচুন, অন্যকেও সতর্ক করুন। শিশু, বৃদ্ধ ও দুর্বলদের প্রতি একটু বেশি নজর রাখুন যাতে তারা পা পিছলে কোথাও পড়ে না যায়। যথাসম্ভব উঁচু ও নিরাপদ স্থানে অবস্থান করুন।
দুর্গত মানুষের জন্য প্রয়োজন একটু নিরাপদ আশ্রয়। শুকনো খাবার। পানিবাহিত রোগ থেকে বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধপথ্য। এমতাবস্থায় দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের উচিত- অনতিবিলম্ভে দুর্গত মানুষের পাশে দাড়ানো। সরকারি-বেসরকারিভাবে প্রত্যেকে নিজের সাধ্যানুযায়ী দুর্গত মানুষের সেবায় এগিয়ে আসুন।