নগরীর পানিবন্দী মানুষের দুর্ভোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ জুলাই ২০১৯, ৬:৩৪:০৪ অপরাহ্ন
মুনশী ইকবাল ::
সুরমা নদীর পানি উপচে পানিবন্দী সিলেট নগরীর কয়েকটি এলাকার মানুষের দুর্ভোগ চারদিনেও কমেনি। উপশহর সি ও ডি ব্লক, কালীঘাট, ছড়ারপাড়, মাছিমপুর, তালতলা, তেরোরতন ও মেন্দিবাগ এলাকার মানুষ পানিবন্দী জীবনযাপন করছেন। এসব এলাকার একাংশ প্লাবিত হয়েছে। বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে যাওয়ায় অনেকে ইটের মধ্যে কাঠ ফেলে ঘরের মধ্যে চলাচল করছে। অনেকের রান্নাঘর তলিয়ে যাওয়ায় বাইরে থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী নগরবাসীদের কয়েকজন জানিয়েছেন, প্লাবিত এলাকার পাশ দিয়ে সুরমা নদীর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী ছড়া রয়েছে। নদীতে পানি বেশি থাকায় কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে জমা পানি ছড়া দিয়ে নদীতে মিশতে পারছে না। এ অবস্থায় ছড়া ও নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিপাত না কমলে এমন অবস্থার পুরোপুরি অবসান হবে না বলেও তারা ধারণা করছেন। তবে আগের দিনের তুলনায় পানি গতকাল কয়েক ইঞ্চি পরিমাণ কমেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
সোমবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, তালতলর গুলশান হোটেল থেকে জামতলামুখী সড়কের একাংশ পানিতে ডুবে আছে। এর আশপাশের বাসাগুলোতে পানি ঢুকেছে। ছড়ারপাড়, মাছিমপুর ও মেন্দিবাগ এলাকায় অন্তত তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। উপশহর, তেরোরতন ও কালীঘাট এলাকায় বাসার পাশাপাশি অনেক দোকানপাটেও পানি ঢুকেছে। এ কারণে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। ছড়ার নিকতবর্তী এলাকা হওয়ায় প্রতিটি এলাকার সৃষ্ট পানিতে ময়লা-আবর্জনা ভাসছে। সেসব ময়লা নদী ও ছড়া তীরবর্তী প্লাবিত এলাকাগুলোর বাসা-বাড়িতেও ঢুকছে। এটিই প্লাবিত লোকজনদের সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে। এ ছাড়া সারাক্ষণ ওই ময়লাযুগ্ধ পানির উৎকট দুর্গন্ধ তো রয়েছেই।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সুরমা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় খাল-ছড়াগুলো দিয়ে বৃষ্টির পানি স্বাভাবিকভাবে প্রবাহিত হতে পারছে না। নদীর পানি উপচে তীরবর্তী কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। তবে নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। একটু রোদ দেখা দিলেই দু-একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি পুনরায় স্বাভাবিক হয়ে যাবে।