বড়লেখার শিলকুরা-মিহারী রাস্তা যেন চাষ দেয়া ধানক্ষেত
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জুলাই ২০১৯, ২:২০:২৭ অপরাহ্ন
বড়লেখার বর্নি ইউপির মিহারী-শিলকুরা গ্রামীণ কাঁচা রাস্তার বেহাল দশায় বছরের পর বছর চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। গ্রামের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি নিয়ে মানুষের কষ্টের যেন শেষ নেই। বরুদল নদীর পাশ ঘেঁষা এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে গ্রামে যাওয়া আসা করতে গিয়ে বর্ষা মৌসুমের প্রত্যেক দিনই গ্রামবাসীকে ফেলতে হয় দীর্ঘশ্বাস।
গ্রামীণ কাঁচা রাস্তাটি যেন রাস্তা নয়, এটি যেন চাষ দেয়া কোন ধানের ক্ষেত। বছরের ৬ মাস বড়লেখা ও বিয়ানীবাজার উপজেলার কয়েকটি গ্রামের হাজারো লোকজনকে কাদা মাড়িয়ে চলাচল করতে গিয়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহান।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের মিহারী, শিলকুরা, নয়াগ্রাম ও পূর্ব শিলকুরা গ্রামের এবং বিয়ানীবাজার উপজেলার সানেশ্বর ও গাংকুল দাসউরা গ্রামের লোকজন শিলকুরা-মিহারী রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। কিন্তু এ রাস্তাটি বছরের ৬ মাস এতই কর্দমাক্ত হয়ে উঠে, রিকশা ও হালকা যানবাহন চলাচলতো দুরের কথা, পায়ে হেটেও চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে। এ রাস্তার রমা মাস্টারের বাড়ি সংলগ্ন স্থান এতই খারাপ, দেখলে মনে হবে এটি যেন সদ্য চাষ দেয়া ধানের কোন জমি। এতে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েন স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী এবং হঠাৎ অসুস্থ হয়ে উঠা লোকজন। বিশেষ করে গর্ভবতি মহিলাদের নিয়ে বিপাকে পড়েন তাদের স্বজনরা।
এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শ্যামা কান্ত দাস, শৈলেন্দ্র দাস, রন কান্ত দাস প্রমুখ জানান, রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কারণে ছোট বাচ্চারাও স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বারবার অনুরোধ করা সত্বেও তারা আজও কোন উন্নয়ন করেননি। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার সুবোধ দাস জানান, গত বছর ইট সলিংয়ের জন্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে আবেদন করেও কোন বরাদ্দ পাইনি। এ রাস্তাটি উন্নয়নের জন্য তিনি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে আলাপ করবেন।
উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ ভূষণ পাল জানান, ‘গ্রামীণ এ রাস্তাটি এলজিইডি’র আইডিভুক্ত নয়। ইউনিয়ন পরিষদ উদ্যোগ নিলে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় উপজেলা পরিষদের তহবিল থেকে ইট সলিং দ্বারা উন্নয়ন করা যেতে পারে।’