কমিটি গঠনে নির্বাচনী তফশীল নিয়ে উত্তেজনা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ জুলাই ২০১৯, ১২:৩৭:২৫ অপরাহ্ন
ছাতক প্রতিনিধি ::
ছাতকের জাহিদপুর জামেয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি গঠনে নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। গোপনীয়তা অবলম্বন করে নির্বাচনের তফশীল ঘোষণার অভিযোগে এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। অধিকাংশ অভিভাবক নির্বাচনে তফশীল সম্পর্কে অজ্ঞাত থাকায় ৭টি পদের বিপরীতে ৭ জন প্রার্থী ছাড়া অন্য কোন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে পারেনি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি গঠন হতে যাচ্ছে। এর আগে ১১ জুন সকালে মাদ্রাসার হলরুমে অভিভাবক ও স্থানীয় গন্যমান্যদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় মাওলানা ওসমান গনীকে সভাপতি ও মাদ্রাসা সুপার নুরুল হককে সদস্য সচিব করে সিলেকশনে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু এলাকার গন্যমান্যদের তীব্র আপত্তির মুখে গঠিত এ কমিটি কার্যকর হয়নি।
সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনে স্থানীয়দের জোরালো দাবীর প্রেক্ষিতে গঠিত কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেন কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পর্যন্ত গড়ালে নির্বাচন পরিচালনার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পুলিন চন্দ্র রায়কে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেন সদ্য বিদায়ী ইউএনও আবেদা আফসারী। গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরাসরি ভোটের মাধ্যমে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি গঠনের লক্ষ্যে গত ৭ জুলাই নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা। নির্বাচনী তফশীল মাদ্রাসার নোটিশ বোর্ডে সাটানোর জন্য মাদ্রাসা সুপারকে নির্দেশ দেন তিনি। স্থানীয়দের অভিযোগ, অসৎ উদ্দেশ্যে নির্বাচনী তফশীল সংক্রান্ত নোটিশ কয়েক মিনিটের জন্য নোটিশ বোর্ডে সাটিয়ে মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে তা সরিয়ে ফেলা হয়। ফলে নির্বাচনে কোন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিতে না পারায় ১১জুন গঠিত কমিটি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে এলাকার লোকজন ও অভিভাবকদের মধ্যে বিরাজ করছে উত্তেজনা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তা পুলিন চন্দ্র রায় জানান, একটি সুষ্ট নির্বাচনের জন্য সকল ব্যবস্থা করেছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত কোন অভিভাবক লিখিত বা মৌখিক কোন অভিযোগ করেননি।