গোলাপগঞ্জে কমেছে জিপিএ-৫ বেড়েছে পাশের হার
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ জুলাই ২০১৯, ১:৩৩:৩০ অপরাহ্ন
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি :
গোলাপগঞ্জ উপজেলায় এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পাশের হার বেড়েছে, কমেছে জিপিএ-৫। গত বছর এ উপজেলায় পাশের হার ছিল ৭৬.৬৫% ও জিপিএ-৫ ছিল ১৬টি। কিন্তু এ বছর পাশের হার ৮০.৫৭% এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ জন।
উপজেলার মাধ্যমিক অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এইচএসসি পরীক্ষায় ১৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২টি প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১জন। এবছর এইচএসসি পরীক্ষায় ২ হাজার ৫ শত ৫৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২ হাজার ৬২জন। প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে এমসি একাডেমী থেকে ৫ শত ৫৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে পাশ করেছে ৫ শত ১৫ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮জন। এছাড়া ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ৩ শত ৯১ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ৩ শত ৬০জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন।
কুশিয়ারা কলেজ থেকে ১ শত ২৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ১ শত ১০৭ জন। রাণাপিং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ৭৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ৬৬জন। ঢাকাদক্ষিণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ২ শত ৩০ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ১ শত ৭২ জন। ভাদেশ্বর নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ১০৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ১০১ জন। হাজী আব্দুল আহাদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১১২ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ৯৭ জন। আল-এমদাদ ডিগ্রী কলেজ থেকে ১১৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ১০০ জন। রণকেলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ৬৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ৫৬ জন। ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ৫১ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ৩৬ জন।
ভাদেশ্বর মহিলা ডিগ্রী কলেজ থেকে ১ শত ৫৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ১ শত ৪৯জন। ফুলসাইন্দ দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ৬৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ৪৬ জন। আত্হারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ৫২ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ৩৯ জন। ঢাকাদক্ষিণ সরকারী কলেজ থেকে ৩ শত ৯১ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ১শত ৭৫জন। বিএনকে উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ৪৬জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ১৯ জন। ভাদেশ্বর কলেজ থেকে ২৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ২৪ জন। এইমাত্র এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা শতভাগ উত্তীর্ণ হয়েছে। এছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডের আলিম পরীক্ষায় উপজেলার ৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে ২ শত ২৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে ২ শত ১৪ জন পাশ করেছে। জিপিএ-৫ কেউ পায়নি। এ বছর আলীম পরীক্ষায় ভাদেশ্বর মডেল ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ৮৯জন পরীক্ষার্থী অংশ করে পাশ করেছে ৮৪জন। ফুলবাড়ী আজিরিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ৭১জন পরীক্ষার্থী অংশ করে ৬৬ জন পাশ করেছে। মেহেরপুর আনছারুল উলুম মাদ্রাসা থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৩১ জন। আছিরগঞ্জ সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে ২৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ করে ২৪ জন পাশ করেছে। হাজী আব্দুস সহিদ মহিলা আলিম মাদ্রাসা থেকে ৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ করে ৯ জনই পাশ করেছে।