হাওরাঞ্চলে মৎস্য সপ্তাহে অবাধে মাছ নিধন চলছে
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ জুলাই ২০১৯, ৪:৩৪:২৬ অপরাহ্ন
তাহিরপুর সংবাদদাতা ::
সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলায় চলছে মৎস্য সপ্তাহ। মৎস সপ্তাহে অবাধে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও হাওর, নদী-নালা, খাল বিলে অবাধে নিষিদ্ধ কোনা, বেড়জাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে মাছের পোনা নিধন চলছে। হাওরাঞ্চলের জেলেদের বিকল্প জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা না থাকায় মৎস্যজীবীরা হাওরগুলো থেকে অবাধে পোনা মাছ ধরে বিক্রি করছেন। এতে দিনে দিনে কমে যাচ্ছে দেশি মাছের প্রাচুর্য।
হাওরপাড়ের স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হাওরপারের মৎস্যজীবীরা স্থানীয় মৎস্য অফিসকে ম্যানেজ করে অবাধে পোনা মাছ ধরে বিক্রি করছেন। জলা সদরসহ উপজেলা সদরের প্রত্যেক বাজারে মাছের পোনা বিক্রি হচ্ছে নিয়মিত। নিষিদ্ধ কোনা জাল ও দড়া জাল নিয়ে সন্ধ্যা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত আবার ভোর থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত পালা করে চলে পোনা মাছ শিকার। একেকটি কোনা জালের সাথে ৬-৮ জন লোক ও দড়াজালে ৪ জন করে দল গঠন করে হাওরে পোনা মাছ শিকারে নামতে দেখা যায়। প্রতিটি কোনা জাল দিয়ে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ মন মাছ শিকার করা হচ্ছে। এ হিসেবে প্রতিদিন জেলার বৃহৎ হাওরগুলো থেকে কয়েক টন মাছ শিকার করা হচ্ছে। এবং তা গ্রামে ও স্থানীয় বাজারসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হচ্ছে।
জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্র জানা যায়, মাছের বংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারা দেশে জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত হাওর, নদী-নালা, খালবিলে নয় ইঞ্চির নিচে রুই, কাতলা, কালবাউশ, মৃগেল, কালিয়াসহ রুই জাতীয় মাছের পোনাসহ মাছ ধরা নিষিদ্ধ রয়েছে।
একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার হিসাবে, হাওরের ৫৫ প্রজাতির মাছ বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে মহাশোল, রিটা, নানিদ, বাঘাইড়সহ পাঁচ প্রজাতির মাছ অতি সংকটাপন্ন এবং আরও ১৫ প্রজাতির মাছ রয়েছে সংকটাপন্ন অবস্থায়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল হক বলেন, জৈষ্ঠ্য, আষাঢ় ও শ্রাবণ এই তিন মাস মাছের পোনা শিকার বন্ধ করা গেলে মৎস্য সম্পদে হাওরাঞ্চল ভরপুর হত। লাঘব হত মাছের অভাব। অবাধে মাছ ধরা বন্ধে মোবাইল কোর্ট, জরিমানাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।