লিডিং ইউনিভার্সিটিতে নিরাপদ খাবার পানি বিষয়ক সেমিনার
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জুলাই ২০১৯, ৫:৪৩:৩৭ অপরাহ্ন
সিলেটের প্রথম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটিতে নিরাপদ খাবার পানি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০ জুলাই ২০১৯) বিকাল ৩টায় লিডিং ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং পাবলিক হেল্থ বিভাগের উদ্যোগে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে সবার জন্য নিরাপদ খাবার পানি (সেইফ ড্রিংকিং ওয়াটার ফর অল বাই ২০৩০: বাংলাদেশ পারস্পেক্টিভ)-শীর্ষক সেমিনারে মূলবক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকার এমরি ইউনিভার্সিটির রলিন্স স্কুল অব পাবলিক হেল্থ এর প্রফেসর এবং বাংলাদেশের পরিবেশ ও গবেষণা কেন্দ্রের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার বিলকিস আমিন হক, পিএইচ.ডি।
লিডিং ইউনিভার্সিটির আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. এম. রকিব উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, জীবনের জন্য যেমন পানির প্রয়োজন তেমনি পরিবারে সুস্বাস্থ্য এবং সুখি জীবন যাপনের জন্য পানি হতে হবে নিরাপদ। বাংলাদেশে আমাদের ব্যবহারের জন্য কতটুকু নিরাপদ পানির ব্যবস্থা আছে এবং প্রয়োজনীয় নিরাপদ পানির ব্যবস্থা কিভাবে করা যেতে পারে তা আজকের সেমিনারের মাধ্যমে প্রধান বক্তা আলোকপাত করেছেন যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নিরাপদ পানির ব্যবস্থাকরণে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এবং পাবলিক হেল্থ বিশেষজ্ঞদের একসাথে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে প্রধান বক্তা ড. বিলকিস আমিন হক বলেন, বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পানি রয়েছে কিন্তু সে পানিকে কিভাবে নিরাপদ করা যায় তার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। টেকসই উন্নেয়নের লক্ষ্যে খাবার পানি থেকে শুরু করে কৃষি এবং জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থাকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এখন খুবই প্রয়োজন, তা না হলে আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে এ লক্ষ্যে পৌছতে পারব না। টিউবওয়েলের পানির চেয়ে পাইপ লাইন পানিকে বেশি নিরাপদ উল্লেখ করে তিনি শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তরপর্বে বলেন, আমাদের দেশে পাইপ লাইনের পানি সরবরাহ করার পূর্বে তার ট্রিটমেন্ট করতে হবে। দেখতে হবে পানিতে কোন জীবানু বা বিষাক্ত কেমিক্যাল আছে কি না। তিনি গবেষণার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে বলেন, নিরাপদ পানির জন্য ১ ডলার খরচ করলে ৩-৩৪ ডলার স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর মো. সামস-উল আলম জয়, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. জহির বিন আলম। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সানন্দা বনিকের সঞ্চালনায় সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়েল কোয়ালিটি এসিউরেন্স সেলস এর পরিচালক মো. রেজাউল করিম, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান ইঞ্জিনিয়ার মো. আবু জাফর। বিজ্ঞপ্তি