অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু ও কিছু কথা
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জুলাই ২০১৯, ৬:৩৬:৪৩ অপরাহ্ন
অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু ও কিছু কথা
।। জাকিয়া নূরী চৌধুরী ।।
পত্রিকার একটি খবর আমাকে বিচলিত করে। ভারতের মোম্বাই বিমান বন্দর থেকে আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই যাত্রীদের নাক কান দিয়ে রক্ত বেরোনোর জেরে-জরুরী অবতরণ করতে হয় ভারতের জেট এয়ার ওয়েজের একটি বিমান। তদন্ত করে দেখা যায় মাঝ আকাশে বাতাসের চাপ নিয়ন্ত্রণের যে সুইচটি থাকে বিমানের পাইলট, সহকারী পাইলট সবাই সুইচটি টিপতে ভুলে গেছেন ফলশ্রুতিতে ত্রিশজন যাত্রীর প্রচন্ড মাথা ব্যথা ও নাক কান দিয়ে রক্ত বেরুনো শুরু হয়।
কিছু দিন পর পরই টিভির ব্রেকিং নিউজ অথবা পত্রিকার পাতায় উঠে আসে চলন্ত বাসে মহিলা যাত্রীদের শ্লীলতাহানি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদেরকে জীবন পর্যন্ত দিতে হয়। এসব ঘটনা নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। মানুষের কর্মব্যস্ততা যেমন বাড়ছে, বাড়ছে যানবাহনের চাহিদা। প্রয়োজনীয় যানবাহন না থাকায় বিশেষ করে মহিলা যাত্রীদের স্কুল কলেজ ও অফিসে যাওয়ার পথে চরম হয়রানীতে পড়তে হয়। অনেক সময় অনেক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার সম্মুখীন হন তারা।
শ্রমিক নিরাপত্তার গান শুধু আমরা মে মাসেই শুনতে পাই। শ্রমিকদের ন্যায্য বেতন, কর্মঘন্টা নির্ধারণে সরকার থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ সবাই খুবই তৎপর। তাদের তৎপরতায় মনে হয় এই বুঝি শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য পাওনা, তাদের চাকুরী স্থলের নিরাপত্তা পেয়ে যাবে। কিন্তু না-মে মাস শেষ হয়ে গেল তাদের চাওয়া পাওয়া, বাস্তবায়ন, সবই যেন মাটি চাপা পড়ে যায়। গতানুগতিকভাবে মহিলা শ্রমিক সহ সাধারণ সকল শ্রমিকই চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা কর্মস্থলে তাদের মান-ইজ্জত রক্ষায়ও ব্যর্থ হয়।
রাজনৈতিক নির্যাতন আমাদের দেশের রক্তের সাথে মিশে আছে। অন্যান্য দেশে নির্বাচন হলে আমরা সব সময়ই শুনি প্রতিপক্ষ বিজয়ী দলকে ও দলনেতা অভিনন্দন জানিয়েছে। আমাদের দেশের প্রতিপক্ষের কমন বুলি হলো ইলেকশন ফেয়ার হয়নি। বাতিল করে পুণরায় ইলেকশন দিতে হবে। বিজয়ী দল মনে করে এতদিন যা পাইনি আজ আমার হাতের মুঠোয় সব। জনগণের চাওয়া পাওয়ার প্রাধান্য তাদের কাছে নাই বললেই চলে। উক্ত পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাঙ্গণ থেকে শুরু করে অফিস আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে বৈষম্য। সাধারণ নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কেউ অনুসরণ করছেন না। ফলশ্রুতিতে মানুষ তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত, ছাত্রছাত্রী তাদের কাঙ্খিত মানে পৌঁছাতে পারছে না, অফিস আদালতে নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালনের চেয়ে দুর্নীতির চর্চার সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। মানুষের মধ্যে নৈতিকতা, হালাল হারামের বাছ-বিচার না থাকায় একশ্রেণী ধনী থেকে আরো ধনী হচ্ছে-অন্য শ্রেণী নির্যাতিত হতে হতে বেকারত্বের চরম অভিসাপ নিয়ে নিরাপত্তাহীন সমাজে বসবাস করছে। হতাশাগ্রস্ত এই সমস্ত বেকার যুবকরাই মূলত সমাজের বড় বড় অঘটনের জন্য দায়ী। সম্প্রতি কিছু ঘটনা আমাকে খুবই মর্মাহত করেছে।
ঘটনা-১ ঃ সালেহা শফীক উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন গৃহিনী। অত্যন্ত পরিপাটি, সুচিন্তন ও বিজ্ঞ বলে খ্যাত। পরিবার নামক জাহাজটির একমাত্র মূল্যবান কান্ডারী। পারিপাশির্^ক অবস্থার উপরও তার ধারণা ছিল। স্বামী সরকারী চাকুরীজীবী শফিক উদ্দিন-খুবই নরম স্বভাবের মানুষ। সরকারী চাকুরীজীবী গণপূর্ত ভবনের কর্মকর্তা ছিলেন। এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে তাদের সুখের সংসার। মেয়ে ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করে চাকুরীরত। ছেলে আইইউবি থেকে পাশ করে সিলেট শেভরনের বড় কর্মকর্তা। ছেলের চাকুরীর সুবাদে সালেহা শফিকের পরিবার ঢাকা থেকে সিলেটে প্রত্যাবর্তন করেন। ঢাকায় চাকুরীর ফলে (শফিক উদ্দিন) ঢাকার মীরপুরে একটি বাড়ি করেন অতিকষ্টে। সিলেট থেকে প্রায়ই মাসের প্রথম দিকে ঢাকায় যাওয়া আসা করতেন সালেহা শফিক ও শফিক উদ্দিন। ২০১৮ সালের রমজান মাসে সালেহা শফিক ও শফিক উদ্দিন ঢাকা থেকে সিলেট আসছেন এনা বাসে। বাস যথারীতি তাদেরকে হুমায়ুন রশীদ চত্বরে নামিয়ে দেয়। দু’জন একটি ফোরস্ট্রোক নিয়ে উপশহরে ই-ব্লকের বাসার দিকে রওয়ানা হন। রাত ৯ টা, রমজান মাস গাড়ি যখন নতুন ব্রীজ পাড়ি দিয়ে গ্যাস অফিসের সামনে আসে তখনই আচমকা একজন ছিনতাইকারী তার ব্যাগ ধরে জোরে টান দেয়। ব্যাগের ফিতা সালেহা শফিকের হাতে প্যাচানো ছিল। আচমকা টান খেয়ে তিনি ফোরস্ট্রোক থেকে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন এবং রাস্তার আইলেন্ডের সাথে প্রচন্ড জোরে আঘাত পান। সঙ্গে সঙ্গে তিনি জ্ঞান হারান। ছিনতাইকারী তার ব্যাগ নিয়ে চলে যায়। শফিক উদ্দিন হতবিহ্বল হয়ে তাকিয়ে আছেন ঘটনার আকস্মিকতায়। পরবর্তীতে তিনি মোবাইলের মাধ্যমে ঘটনা তার ছেলে ও ছেলের বউকে জানান। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় সিলেট ইবনে সিনায় নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ব্রেইন সার্জারীর জন্য তাকে আলহারামাই হসপিটাল স্থানান্তর করা হয়।
রাত তিনটায় সার্জারী শুরু হয় ও সকাল সাত টায় শেষ হয়। মাথার দুই পাশে ইঞ্জুরি থাকায় অপারেশ জটিল আকার ধারণ করে। তবুও ডাক্তার আশাবাদী উনার একান্ত আপনজন ডা.জুবায়ের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন। চিকিৎসার কোন ত্রুটি হয়নি। কিন্তু না সালেহা শফিক আর চোখ মেলে এই পৃথিবী দেখেননি। ছেলে, ছেলের বউ, মেয়ে, মেয়ে জামাই ও তার জীবন সঙ্গী শফিক উদ্দিনকে রেখে আল্লাহ্্র হুকুমে ঈদের পরের দিন চলে যান পৃথিবীর মায়া ছেড়ে। হাতছানি দিয়ে ডেকেও সাড়া মেলেনা যে জগতের। সদা হাস্যোজ্জল মানুষটি পরপারের বাসিন্দা হলেন মাত্র ৫২ বছর বয়সে। লাশ বাসায় আনা হলো। সমস্ত প্রক্রিয়া শেষে লাশ যখন নিয়ে যাওয়া হবে জানাজার জন্য তখন পুলিশ এসে হাজির লাশ পোর্স্টমর্টম করতে হবে। যেহেতু ছিনতাইকারীর হাতে মারা গেছেন এবং কেইসও হয়েছে। অথচ কোন ছিনতাইকারী ধরা পড়েনি। আমি ভাবলাম হায়রে পুলিশ বাহিনী পাঁচ দিন যখন তিনি আই সি ইউ তে ছিলেন পরবর্তীতে লাইফ সার্পোটে তখন তোমরা একটি বারের জন্য খোঁজ খবর নাওনি, লাশ নিয়ে এখন দায়িত্ববোধের জন্ম হয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশকে মেনেজ করে জানাযা শেষে লাশ দরগায় দাফন করা হয়। একটি পরিবারের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সালেহা শফিক সংসার, স্বামী, সন্তান সমস্ত আয়োজনকে পিছনে ফেলে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। কি সাংঘাতিক সেই স্মৃতি, কি করুণ সেই মৃত্যু।
ঘটনা-২ ঃ মাহিদ আল সালাম, কেউ বলে মাহিদ, কেউ ডাকে মেহেদী। সদা হাস্যোজ্জল মাহিদ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র। অর্থনীতি বিভাগ থেকে অনার্স কমপ্লিট করে, মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ছিল এই তরুণ মেধাবী ছাত্রটি। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের প্রকৃতি নিয়ে ছিল তার নিখাদ ভালোবাসা। প্রকৃতির কাছাকাছি বনবনানী নদী নালায় বন্ধুদের নিয়ে চষে বেড়াতো মেহেদী। পরোপকারী তরুণ মেহেদী মানুষের বিপদে আপদে সবার আগে গিয়ে উপস্থিত হতো।
চাকুরীর ইন্টারভিউ দেয়ার জন্য ঢাকায় ২৫ শে মার্চ ২০১৮ রোববার মধ্যরাতে কীনব্রীজ এলাকা পাড়ি দিচ্ছিল মেহেদী। রিকশা ব্রীজ অতিক্রম করার সময় একদল ছিনতাইকারী তার জিনিষপত্র ল্যাপটপসহ সব নিয়ে যায় এবং নিতান্তই অকারণে তাকে হতবুদ্ধি করার উদ্দেশ্যে হাটুর পিছনের দিকে ছিনতাইকারীদের একজন ছুরিকাঘাত করে। ধমনীর মধ্যে ছিদ্র হয়ে যাওয়ায় খুব দ্রুত রক্তক্ষরণ হয় ও মেহেদী নিঃস্তেজ হয়ে পড়ে রাত তখন সাড়ে ১২ টা। রাত তিনটার দিকে পেট্রোল পুলিশের সহায়তায় মেহেদীকে ওসমানী মেডিকেল কলেজে নেয়া হয়। প্রথমে ইমার্জেন্সিতে ১ম তলায় পরে চার তলায় পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে একটা ফাস্ট এইড পর্যন্ত দেয়া হয়নি। এমনকি একটা বেন্ডেজ পর্যন্ত দেয়া হয়নি। রাত সাড়ে ৩ টার দিকে মেহেদীর পরিচয় সনাক্ত করেন ব্যবসায়ী জগদীশ দাস। তার প্রচেষ্টায় ৪ টায় আত্মীয় স্বজনরা খবর পান। ততক্ষণে মেহেদী চলে গেছে না ফেরার দেশে। রাত ১২ টায় যখন সে মদিনা মার্কেটের বাসা থেকে বের হচ্ছিল, মা তখন খাচ্ছিলেন। মাকে মেহেদী বললো-মা আমি যাচ্ছি, তুমি খাওয়া শেষ করে ঔষধগুলো খেয়ে নিও। মা কি জানতেন এ যাওয়াই ছিল মেহেদীর শেষ যাওয়া। মেহেদী জীবিত অবস্থায় আর তার ঘরে ফিরবেনা। পরের দিন বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক প্রতিবাদের ঝড় তোলে তারা খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি-মেধাবী এই ছাত্রের লাশ দেখে বিমর্ষ হয়ে পড়েন এবং বার বার বলেন-এ মৃত্যু কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। মেহেদীর পিতা মরহুম আবদুস সালাম সিলেট জেলা বারে সিনিয়র আইনজীবী ছিলেন। মা অ্যাডভোকেট আমিনা সালাম। চার ভাই বোনের মধ্যে মেহেদী সবার ছোট। এক ভাই ও একবোন যুক্তরাজ্যে বসবাসরত। এক বোন ঢাকা পিজি হাসপাতালের চিকিৎসক। মদিনা মার্কেট এলাকার বাসিন্দা মেহেদী। তার জন্ম দিনে ফেইসবুকের স্ট্যাটাস সবার নজর কাড়ে। “আজকে কারো ও+ রক্ত লাগলে আওয়াজ দিবেন প্লিজ, বান্দা হাজির হয়ে যাবে। নিজের জন্ম দিনে অন্যকে রক্ত দেয়ার জন্য এভাবেই ইচ্ছের কথা জানিয়েছিল মেহেদী। অথচ পরোপকারী ছেলে নিজেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু বরণ করেছে। এরকম মেধাবী ছেলেরা আর কত দুস্কৃতিকারীদের হাতে মৃত্যু বরণ করবে। আর কত মায়ের বুক খালি হবে।
ঘটনা-৩ ঃ ব্রেকিং নিউজে ভেসে আসল বাংলাদেশের বিমান ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে নেপালের কাঠমুন্ডু বিমান বন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়ে ৩২ জন মারা যায়। আহতদের কাঠমুন্ডুর বিভিন্ন চিকিৎসালয়ে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। চিকিৎসারত অবস্থায় অনেকে মৃত্যু বরণ করেন মৃতের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ৭০ এ গিয়ে পৌঁছায়।
পরবর্তীতে জানা যায় এ বিমানের যাত্রীদের মধ্যে চিকিৎসক ছিল যারা সদ্য এমবিবিএস পাশ করেছে সিলেটের রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ থেকে এবং চিকিৎসক সবাই নেপালী। বাকী যাত্রীদের মধ্যে বাংলাদেশীর সংখ্যা বেশী ছিল। বৈশাখী চ্যানেলের সাংবাদিক পৌঢ় বয়সী স্বামী-স্ত্রী পাইলট, ক্রু বিমানবালাসহ অনেকে। পরবর্তীতে বিভিন্ন গবেষণায় বেরিয়ে আসে পাইলট প্লাটফর্মের নাম শুনতে ভুল করেছেন, অন্য মনষ্ক থাকায়। যার ফলশ্রুতিতে এই অঘটন। আরো তদন্তের পর বের হয়ে আসে পাইলট মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন ফ্লাইট পরিচালনার মত মানসিক অবস্থায় তিনি ছিলেন না। যার ফলে তীরে পৌঁছেও বিমানের শেষ রক্ষা হলো না। বিমানের পাইলট ফাহিম পরবর্তীতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন দুই দিন পর। খবর শুনে তার স্ত্রী জ্ঞান হারান পরবর্তীতে আইসিইউ তে থাকা অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। একা হয়ে যায় তাদের একমাত্র সন্তান অয়ন।
চলার পথে এরকম হাজারো মৃত্যুর খবর আমাদের বিচলিত করে, মর্মাহত করে। আমরা স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হয়েও অপমৃত্যু যেন আমাদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। আমাদের আত্মীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশী সবাই স্বীকার হচ্ছে এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার। আমরা স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে চাই। নিরাপদ সড়ক চাই, নিরাপদ কর্মস্থল চাই, নিরাপদ যানবাহন চাই, নির্ভরযোগ্য পুলিশ বাহিনী, সেনা ও নৌ-বাহিনী চাই। ভেজাল মুক্ত খাবার চাই, শালীন পোশাক চাই, নিরাপদ বাসস্থান চাই, নিবেদিত ডাক্তার চাই, ভেজাল মুক্ত ঔষধ চাই।
স্বাধীন ভূ-খন্ডের স্বাধীন নাগরিক আমরা অথচ হত্যা, গুম, শ্লীলতাহানি, রাজনৈতিক হত্যা, পারিবারিক হত্যা, সামাজিক হত্যা, কোন অস্বাভাবিক হত্যা আমাদের কাম্য নয়। স্বাধীন ভূ-খন্ডের মুক্ত বাতাসে প্রাণ খুলে নিঃশ^াস নিতে চাই, মুক্ত বিহঙ্গের মত ঘুরে বেড়াতে চাই, ক্ষণিকের এ পৃথিবীতে সচেতন কাফেলার সঙ্গীরা আমার সাথী হবেন কি?