শাল্লায় হাসপাতাল ভবন নির্মাণে নানা অনিয়মের অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জুলাই ২০১৯, ৭:১২:০৮ অপরাহ্ন
শাল্লা প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও আবাসিক কোয়ার্টার নির্মাণ কাজে নি¤œমানের মালামাল ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন হাসপাতাল নির্মাণের শুরু থেকেই নি¤œমানের রড, পাথর-বালু ব্যবহার করে আসছে। বার বার নিষেধ করলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে মাটি, গাছের পাতা, ঘাস, গাছের শিকড় মেশানো বালু-পাথর নিয়ে নির্মাণ কাজ করছে।
শুক্রবার উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক পালাশ চৌধুরী, ছাত্রলীগ নেতা সূধাকর দাস, রূপক দাস, সৌমেন সরকার, রাজু দাস, শ্যামল কান্তি দাস বলেন, কাজের নামে ডাকাতি করছে মেসার্স ডালী কন্সট্রকশনের লোকজন। তারা গাছের শিখর, পাতা, দুর্বাঘাস ও মাটি মেশানো মালামাল দিয়ে নির্মাণ কাজ করছে। ৫তলা দু’টি আবাসিক ভবন ও ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের নির্মাণ কাজে যেসব স্থানে বাইব্রেটর মেশিন ব্যবহারের কথা সেসব স্থানে বাঁশ দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে কাজ করছে। ভবনের প্লাস্টার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বিট বালু (নদী চরের বালু)।
জানা যায়, নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ডালী কন্সট্রাকশন গত বছরের ৬ জুলাই ওই হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শুরু করে। কাজের মেয়াদ চলতি বছরের ২২ মে শেষ করা কথা থাকলেও নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। নির্মাণ কাজের অনিয়ম সর্ম্পকে প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিক সর্দার মোঃ সিদ্দিক মিয়া জানান, আমি নামাজে ছিলাম, এসে দেখি শ্রমিকরা নি¤œমানের মালামাল ঢালাইয়ের কাজে লাগাচ্ছে।
সাইটে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানটির উপ-সহকারি প্রকৌশলী জহির আহমেদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এ মাল ব্যবহারের কথা বলি নাই। তাছাড়া আমরা কেউ সাইটে ছিলাম না। শ্রমিকরাই এ কাজ করেছে। শ্রমিকগণ কেন আপনার নির্দেশনা ছাড়া নি¤œমানের মালামাল লাগালো প্রশ্ন করলে তিনি তার কোনো জবাব দিতে পারেননি। অপর দিকে বিট বালু দিয়ে প্লাস্টারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বালু উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ দ্বারা স্বীকৃত। যে বালুতে প্লাস্টার করা হচ্ছে তার এফ.এম সম্পর্কিত ল্যাবরটরীক্যাল প্রত্যয়ন রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি তারও উত্তর দিতে ব্যর্থ হন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হেলাল উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি বর্তমানে হজ্বের ছুটিতে আছি। যতদূর সম্ভব আমি নির্মাণ কাজ দেখাশুনা করেছি। কিন্তু আমি ঢাকায় চলে আসার পর নির্মাণ কাজে কী হচ্ছে তা জানি না।
এবিষয়ে কথা বলতে সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ আশুতোষ দাসের মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এব্যাপারে সিলেট স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান খাঁনের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান আমি শীঘ্রই শাল্লা হাসপাতালের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে আসবো এবং এখনই বিষয়টি ফোনে খোঁজ নিচ্ছি।