বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট : জুড়ীতে খেলার আয়োজন না করেই দল সিলেকশন !
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ জুলাই ২০১৯, ১২:৪৭:৪২ অপরাহ্ন
আব্দুর রব, বড়লেখা থেকে ::
জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের প্রাইমারী স্কুলগুলোতে গত ২ বছর ধরে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন না করেই লটারীর মাধ্যমে দল সিলেকশন করা হচ্ছে। এতে একদিকে টুর্নামেন্ট চালুর উদ্দেশ্য ভেস্তে যাচ্ছে, অপরদিকে টুর্নামেন্ট পরিচালনার বরাদ্দ লুটপাট করা হচ্ছে। সিন্ডিকেটের কবলে এ ইউনিয়নের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষার্থীদের ঝরেপড়া রোধ, শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত, নেতৃত্বের বিকাশ, ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি ও মাদকাসক্তি রোধের লক্ষে ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট চালু করে। প্রত্যেকটি স্কুলকে প্রতিবছর এ খেলায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামুলক করা হয়েছে।
জুড়ী উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের মধ্যে গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের মোট ১২টি প্রাইমারী স্কুলের খেলার নির্ধারিত ভেন্যু হাজী ইনজাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ। উপজেলা শিক্ষা অফিস একজন প্রধান শিক্ষককে ইউনিয়ন প্রতিনিধি নিযুক্ত করে খেলা পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করে। কিন্তু গত ২ বছর ধরে এ ইউনিয়নের স্কুলগুলোর কোন খেলাধুলা হয় না। টুর্নামেন্টের দায়িত্বশীলরা খেলার আয়োজন না করেই বালক ও বালিকা পর্যায়ে নিজেদের পছন্দের স্কুলকে চ্যাম্পিয়ন দেখিয়ে উপজেলা পর্যায়ে খেলার জন্য স্কুল ও খেলোয়াড়ের নামের তালিকা প্রেরণ করেন। গত ১৮ জুলাই ফাইনেল সম্পন্ন দেখিয়ে এবার গোয়ালবাড়ি ইউপির বালক পর্যায়ে রতœা চা বাগান সরকারী প্রাইমারী স্কুল ও বালিকা পর্যায়ে উত্তর গোয়ালবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে চ্যাম্পিয়ন দেখানো হয়। একই কায়দায় গত বছর বালক পর্যায়ে শিলুয়া ও বালিকা পর্যায়ে উত্তর গোয়ালবাড়ি প্রাইমারী স্কুলকে চ্যাম্পিয়ন দেখানো হয়।
ইউনিয়ন প্রতিনিধি ও উত্তর গোয়ালবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিল্পী বেগম জানান, তার ইউনিয়নের স্কুলগুলোর মধ্যে তিনি খেলার আয়োজন করেছেন। তমাল সিংহ মন্ত্রী গাও স্কুলের প্রধান শিক্ষক অঞ্জলী নাথ জানান, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টে তার স্কুল অংশগ্রহণ করেছে। নির্ধারিত ভেন্যুতে তিনি স্কুলের শিক্ষার্থী খেলোয়াড়দের নিয়ে যান। কিন্তু সুত্র নিশ্চিত করেছে হাজী ইনজাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এবছর প্রাইমারী স্কুলের কোন খেলাই হয়নি। খেলার আয়োজন না করেই প্রধান শিক্ষকরা কাগজে কলমে খেলা দেখিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মস্তোষ কুমার দেবনাথ জানান, ইউনিয়ন পর্যায়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট সম্পন্ন হলেও গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের খেলা নিয়ে ইউএনও মহোদয়ের নিকট অভিযোগ রয়েছে। স্যার মিটিং ডেকেছেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।