তাহিরপুরে দুর্গন্ধে নাক চেপে মুসল্লীদের নামাজ আদায়
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ জুলাই ২০১৯, ৮:৫৬:১৯ অপরাহ্ন
তাহিরপুর সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদাঘাট বাজারের ৪টি হোটেলের ময়লা, আবর্জনা ফেলা হচ্ছে মসজিদ ও মাদ্রাসা সীমানার ভেতরে। ফলে দুর্গন্ধে চরম দুর্ভোগে মসজিতে যাতায়াতকারী মুসল্লী, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষ। যেন দেখার কেউ নেই।
জানা যায়, উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বৃহত্তর বাদাঘাট বাজার জামে মসজিদ তার পাশে রয়েছে বাদাঘাট রহমানীয়া দাখিল মাদ্রাসা। মসজিদে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন শত শত মুসল্লী। ২শতাধিক শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে ও মসজিদ সংলগ্ন ডাঃ তাজুল ইসলাম মার্কেট ব্যবসায়ী রয়েছে ৩০ জন। বাদাঘাট বাজারের মেইন রোডের ৪টি হোটেলের ময়লা আবর্জনাসহ পঁচা খাবার ফেলা হচ্ছে হোটেলের পিছনে মসজিদ ও মাদ্রাসার সীমানার ভেতরে দীর্ঘ দিন ধরে। ফলে ঐ স্থানে ময়লার স্তুপ এখন বৃহৎ আকার ধারন করছে। আর বাতাশে দুর্গন্ধে মসজিদে নামাজ পড়া, ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করা এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তির জন্য মুসল্লি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের লোকজন বারবার নিষেধ করার পরেও ময়লা ফেলা বন্ধ হয়নি।
এদিকে মসজিদ সংলগ্ন ডাঃ তাজুল ইসলাম (মুক্তিযুদ্ধা) মার্কেট ব্যবসায়ীগণ বলেন, মসজিদ সংলগ্ন সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হলে নাক চেপে চলাফেরা করতে হয় দুর্গন্ধের কারণে। আমরা ব্যবসাও করতে পারছিনা। ক্রেতা কম আসছে দুর্গন্ধের কারণে। তাই বাজার কমিটি ও মসজিদ কমিটিসহ সকল দায়িত্বশীল ব্যক্তিগনসহ সকলের কাছে হোটেলের ময়লা নির্দিষ্ট জায়গাতে ফেলা হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার দাবী জানান।
ক্ষোভের সাথে মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট ব্যবসায়ী ও স্বত্তাধিকারী আবুল কালাম জানান, আমার মার্কেটের ৩০ জন ব্যবসায়ী ব্যবসা করছে। তারা সারাক্ষণই এই দুর্গন্ধের মধ্যে থাকে। দুর্গন্ধের কারণে ক্রেতা কম আসছে। ব্যবসায়ীরা আমাকে বার বার এই বিষয়ে দ্রুত সমাধানের জন্য বলছে কিন্তু কিছুই করতে পারছি না আমি। এছাড়াও নামাজের জন্য মসজিদে যেতে চাইলে নাক চেপে যেতে হয় দুর্গন্ধের কারণে। আর নামাজ পড়াও কঠিন।
মুসল্লী রফিকুল জানান, মসজিদে যেতে হলে নাক চেপে যেতে হয়। আর নামাজেও একই সমস্যা কারণ বাতাসে পঁচা দুর্গন্ধ চার দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এর একটা সমাধান করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে বাদাঘাট বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুক মিয়া জানান, সবার দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে এই বিষয়ে বাজার কমিটির সভায় বসে আলোচনার মাধ্যমে খুব দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।