নারী সমাজ পাতার আজকের কবিতা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ৮:৪৭:৫০ অপরাহ্ন
শেষে স্মৃতির অভয়ারণ্যে
নাহার নাজমুন
দেখতে দেখতে এক যুগল বসন্তের পর
ব্যালকনিতে নেমেছে অদৃশ্য পায়রার ঝাঁক
এবং একবেলার রৌদ্দুরের উন্মেষের পর নেমেছে
স্মৃতির অভয়ারন্য , আমরা বড্ড বেশি কৌতুক প্রিয় হয়েছি ;
বলি, শ্যামের আস্তিন তুলে নাও
দেখো, অদ্ভুতুড়ে আঁধারের মাঝে
কেমন লাজুক চন্দ্রের দেখা হয়
আর, আমার অধিক কালের যে
প্রিয়তা ছিল , সে চলে গ্যাছে শেষে
অস্তের দিঠি মেলে তাই থাকি
চেয়ে;
সুদ্দুরের মেঘে যদি ঢেকে যায়
আদিগন্তের মিষ্টি জোছনায়
আলোকিত বিস্তৃত করিডোর
তবে, স্মৃতিতে ভর দিয়ে উড়ে
যাও, নিঃসীমের মায়ায় তবে
হারিয়ে যাক আমাদের প্রেম ।
সখ্যতা
তানজিনা জামান চৌধুরী আন্নি
আমার স্বপ্ন তোমার
সখ্যতা পূরণে পূরন
হলো হৃদয়ের পূর্ণতা।
জীবনের জগতে এক
অন্য রকম জগতের সৃষ্টি,
দুই প্রাণ মিলে হলো
এক প্রাণের আত্ম তৃপ্তি।
অন্যরকম জগতে
মজার জীবনের তৃপ্তি,
নিমন্ত্রণে হয়ে গেলো
এক অন্যরকম সৃষ্টি।
সেই জগতে উপলব্ধি
বহুল এক সময়ের আরষ্ট,
সময়ের তালে সময় চলে যায়
তবুও হয় না মন তুষ্টি।
আমি এক অধম
বিলকিস বেগম
আমি যা নই তার চেয়ে-
আছি অনেক উচ্চ আসনে বসে,
এই সবের অবদান আছে-
স্বামী সন্তান-সন্তোতি অনায়াসে।
মুল কথা সব আল্লাহর অনুগ্রহ
অবাধ্য হয়েও যে পেয়েছি
পিতা-মাতার দোয়াও স্নেহ
তাঁদের যত হবেনা অন্য কেহ।
তারা চলে গেছেন ওপারে
এখন কিছু দিতে চাই তাঁদের
আমার নেক আমলের দ্বারা
রহমত বরকত উত্তম যা
পৌঁছে দাও তাদের কবরে।
আগে যা পারিনি
তাদের মৃত্যুর পর
হুস ফিরে পাই আমি
মাফ কর আমার অন্তর যামী।
বসন্ত
শামীমা আক্তার সাথী
হাওয়ার তালে দোলনায় চড়ে
বসন্ত আসলো বছর ঘুরে,
তাইতো কোকিল গাছের ডালে
বসে ডাকে কুহু কুহু সুরে।
শীতের পাতা ঝরা শূণ্য ডালে
আবার কচি পাতা ফোটে,
বসন্তের ছুঁয়াতে মৌমাছির
নব ফুলের মধু জোটে।
বাংলা জুড়ে বসন্ত উৎসবে
বাঙ্গালীরা সবাই মেতে উঠে,
বাসন্তী শাড়ি নব ফুলে
বাঙ্গালী বধু সাজে বটে।
আমের মুকুল আসে তখন
কাঁঠাল ধরে ঝাঁকেঝাঁকে,
দোয়েল পাপিয়া গান গায় তখন
কাঁটাল পাতার ফাঁকেফাঁকে।
নদীর মাঝি গেয়ে যায় গান
ভাটিয়ালী সুর তোলে,
ছোট্ট শিশু দোলনা চড়ে
মনের সুখে দোলে দোলে।
হরেক রকম পিঠাপুলি
শীত বসন্ত ধরে চলে,
উঠোনে বসে সবাইকে ঠাকুমা
বসন্তের পিঠাপুলির গল্প বলে।
নিশীথের নিরবতা
তুলোশী চক্রবর্তী
নিশীথের নিরবতা
মনে জাগায় কতো কথা
চিন্তার ভারে ক্লান্ত হয়ে যায় আখিঁ
তবুও এখন ঘুম পাড়ায়নাতো মা কোলে ডাকি।
মাথা নিস্তেজ প্রবল যন্ত্রণায়
বুক ফাঁটে শব্দহীন কান্নায়
চোখের পলক আর বন্ধ হয় না অন্ধকারে,
জীবন অস্তপ্রায় বেকারত্বের করাল গ্রাসের হাহাকারে,
নিজের সুখ নিয়ে কোনদিন তো ভাবিনি
তবু পারিনি হতে কারো নয়নমনি।
রাতের ঘন কালো নিস্তব্ধতায়
একদিন মা পাশে থাকতো, হায়!
তবুও কাজল কালি অন্ধকারে
কেঁদে উঠতাম মাতৃ বক্ষোপড়ে।
দেওয়াল ঘড়িটিও আজ আমার ডাকে দেয়না সাড়া
হয়তো আমি ভীনগ্রহের প্রানী তাই সাথীহারা,
পাইনা কোনো শিযালেরও হুক্কা হুয়া শব্দ
পাহারাদার কুকুরেরাও নিস্তব্ধ।
চতুর্গুন বেশি অন্ধকারে
আজ একলা ঘরে,
করেনাতো আমার আর কোনো ভয়,
আমি সেই ভয় কে করে নিয়েছি জয়।