সুনামগঞ্জে বন্ধ হচ্ছেনা বালু চুরি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ নভেম্বর ২০২০, ৭:১৭:৫৭ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জে নদী ইজারা নেই। তবুও বালি বিক্রি ও উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছে। সার্বক্ষনিক নজরদারিতে রয়েছে পুলিশ। নদীতে নৌকা বের হলেই আটক করে জরিমানা করা হয়। এতসব নজরদারীর পরও চুরি করে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। অবৈধ ড্রেজার মেশিনের তান্ডবে শান্ত নদী অশান্ত হয়ে উঠছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের কাইয়ারগাও গ্রামের চলতি নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। গভীর রাতে এসব মেশিন চালিয়ে উত্তোলন করে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকার বালু ও পাথর। প্রশাসনের কঠোর নিষেধাষ্ণা অমান্য করে এভাবে নদীর পাড় কেটে নিলেও যেন দেখার কেউ নেই। ফলে এমন নদীর পাড় কেটে গুটি কয়েকজন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। প্রতিনিয়ত এই গ্রামের নদীর পাড় কেটে বালু ও পাথর উত্তোলন করার সময় পুলিশ অভিযান পরিচালনা করলেও থেমে নেই ড্রেজার মেশিনের তান্ডব। কাইয়ারগাঁও গ্রামে গিয়ে দেখা যাচ্ছে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিনদুপুরেও অবৈধভাবে বেশ কয়েকটি ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে নদীর পাড় কেটে প্রকাশ্যে দিবালোকে লাখ লাখ টাকার বালু ও পাথর উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে কাইয়ারগাও গ্রামের বালিখেকো চক্র। পাশের গ্রাম উড়ারকান্দা ও বালাকান্দা এলাকায় আরেকটি বালিখেকো চক্র এভাবেই পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে বালি উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আদং এলাকায় ফসলরক্ষা বাঁধ কেটে বালি বিক্রি করছে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা। তাদের অত্যচার আর নির্যাতনের ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না কেউ। ফলে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো হয়ে পড়েছে হুমকির মুখে, দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। ইতিমধ্যে পুলিশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে বালু ও পাথর বেশ কয়েকটি বলগেট নৌকা আটক করে জরিমানা করলে থেমে নেই নদীর পাড় কাটার মহোৎসব।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহীদুর রহমান আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান প্রশাসনের নিষেধাষ্ণা অমান্য করে যারা নদীর পাড় কেটে বালু ও পাথর উত্তোলন করছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে আছে বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, নদীতে বালি উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছে। যেখানে বালি উত্তোলন করা হবে সেখানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। এবং নদী তীরবর্তী গ্রামের পাশে যতসব বলগেট নৌকা পাওয়া যাবে সেগুলো সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।