‘ব্রিটিশ কারি ডে’ উদযাপন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ৬:৫৮:৪০ অপরাহ্ন
লন্ডন সংবাদদাতা: বিশ্বজুড়ে সবার কাছে অতিপ্রিয় ব্রিটিশ রান্না, যদিও খুব অল্প মানুষ জানে আজকের বিখ্যাত এই ব্রিটিশ কুলিনারি শিল্পের ভিত্তি রচনা হয়েছিল বিগত শতকের ৬০ আর ৭০ দশকের দিকে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া প্রতিভাবান একঝাঁক মানুষের হাত ধরেই।
ব্রিটিশ কুলিনারি শিল্পের নেপথ্য কারিগর বাংলাদেশী এসব কারি-গুরুর সাফল্য উদযাপন ও তাদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বৃহস্পতিবার নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী উদযাপিত হয়েছে ব্রিটিশ কারি ডে। ব্রিটিশ-বাংলাদেশী ক্যাটারারস অ্যাসোসিয়েশন, দ্য গিল্ড অব বাংলাদেশী রেস্টুরেস্টস এবং স্পাইস বিজনেস ম্যাগাজিনের উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়।
কোভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষাপটে কারি-দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে রেস্টুরেন্টগুলো এদিন তাদের সেরা ডিশ তৈরি করে এবং সেগুলো বিভিন্ন হাসপাতাল, মসজিদ, গির্জা এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি স্কুলের শিশু ও কোভিড মোকাবেলায় নিবেদিতপ্রাণ স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে বিতরণ করেন। এ লক্ষ্যে দেশসেরা শেফ ও নন্দিত রাঁধুনীদের তৈরি বেশ কিছু রেসিপি তুলে ধরা হয়েছে ব্রিটিশ কারি ডে’র নিজস্ব ওয়েবসাইটে।
এ বছর ব্রিটিশ কারি ডে’র প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘ব্যাক দ্য ভাজি’। যার মধ্য দিয়ে ম‚লত স্মরণ করা হয় সেই সত্যটি যে, জনপ্রিয় তথাকথিত ‘ইন্ডিয়ান’ ডিশগুলি (যেমন, অনিয়ন ভাজি এবং চিকেন টিক্কা মাসালা) প্রকৃতপক্ষে তৈরি হয়েছিল ব্রিটেনের বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টকর্মী এবং শেফদের হাত ধরেই। ব্রিটিশ রানীর আনুকুল্যে ব্রিটিশ কুলিনারি শিল্পের মর্যাদা ও মাহাত্ম্য তুলে ধরতে প্রতিবছর ৩ ডিসেম্বর ‘ব্রিটিশ কারি ডে’ হিসেবে এ দিবসটি পালিত হবে। উপরন্তু এর ফলে হাজার হাজার পাউন্ডের তহবিল গঠন করাও সম্ভব হবে যা কাজে লাগবে স্থানীয়, জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক যেকোনো সংকটে।
ব্রিটেনে ১২ হাজারের বেশি রেস্টুরেন্ট নিয়ে গড়ে ওঠা ব্রিটিশ-বাংলাদেশি ক্যাটারারস অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে সাড়া দিয়ে ব্রিটিশ কারি ডে উদযাপনে সম্মতি ও উৎসাহ দিয়েছেন ব্রিটিশ রানী, যার প্রধান লক্ষ্য হবে প্রতিবছর ব্রিটেনের জাতীয় আয়ে পাঁচ বিলিয়ন পাউন্ডের অবদান রেখে আসা এ শিল্পের গৌরবজনক ইতিহাস ও তার সাফল্য উদযাপন এবং সবাইকে এর সাথে আরো বেশি সম্পৃক্ত করে তোলা।