করোনাকালে বিকল্প পন্থায় লার্নিং ভিলেজের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জানুয়ারি ২০২১, ৬:৫০:২২ অপরাহ্ন
মুনশী ইকবাল: করোনাকালে স্থবির হয়ে আছে শিক্ষা কার্যক্রম। গতবছরের মার্চে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণী কার্যক্রম করোনা মহামারীর জন্য বন্ধ ঘোষণার পর এখনো তা অব্যহত আছে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ধারাবাহিকতা রক্ষায় বেশকিছু আলাদা উদ্যোগ নেয় লার্নিং ভিলেজ। সিলেট নগরীর পশ্চিম মদীনামার্কেট আখালিয়া এলাকায় ইংরেজি মাধ্যম এই প্রতিষ্ঠানের অবস্থান। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে বিজিবি ক্যাম্পের বিপরীত দিকে মূল সড়কের পাশে মনোরম পরিবেশে এই প্রতিষ্ঠান শুরু থেকেই তাদের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের প্রমাণ রাখতে সক্ষম হয়। করোনার এই সময়ে অনলাইন ক্লাস ছাড়াও জুম অ্যাপের মাধ্যমে বিজ্ঞান মেলা ও গণিত উৎসবের আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি। ৫ই জানুয়ারি অনলাইন অরিয়েন্টেশনের মাধ্যমে ২০২১ সালের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রতিষ্ঠানের অন্যতম পরিচালক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানের বয়স মাত্র কিছুদিন হলেও পাঠদানের সাথে সাথে অন্যান্য জাতীয় দিবসগুলো তাঁরা পালন করে থাকেন। এসব আয়োজনের মধ্যে থাকে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ইত্যাদি। এছাড়া অভিভাবকদের নিয়ে তারা করে থাকেন অভিভাবক সমাবেশ। কিন্তু করোনার জন্য তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম আটকে যায়। এমন অবস্থায় তারা করোনার শুরুতেই অনলাইন ক্লাস পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন, যা বছরব্যাপী অব্যাহত ছিল।
ক্লাসে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন রকমের শিক্ষামুলক গেমস এর আয়োজন করা হয়। বছরের মাঝখানে শিক্ষার্থীরা পছন্দ অনুযায়ী বিষয় নিয়ে এ্যসাইনমেন্ট আকারে বই তৈরি করে। ক্লাসে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। জুম অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক-ম্যানেজিং কমিটির সমন্বয়ে অত্যন্ত সফলভাবে পর্যায়ক্রমে বিজ্ঞানমেলা ও গণিত উৎসবের আয়োজন করা হয়। বাচ্চাদের চমকপ্রদ সব বৈজ্ঞানিক পরীক্ষণ সবার প্রশংসা কুড়ায়। ৬ ডিসেম্বর অনলাইনে আয়োজন করা হয় গণিত উৎসবের। এসব আয়োজনের শিক্ষার্থীরা মেধার পরিচয় দেয়।
স্কুলের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ইংল্যান্ড প্রবাসী চৌধুরী বখতিয়ার এহিয়া রাহেল দীর্ঘদিন ইংল্যান্ডে শিক্ষকতার সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তিনি টাওয়ার হ্যামলেট বরো’র সাবেক হেড টিচার। তিনি জানান, লর্নিং ভিলেজে ইংরেজি শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাদের সিলেবাস সেইভাবেই সাজানো। তিনি জানান, তাদের একটি স্বপ্ন ছিলো ছেলেমেয়েরা ইংরেজি শিক্ষার চাপে যেনো নিজেদের ধর্ম এবং নৈতিকতাকে ভুলে না যায়। সেই ধরনের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শুরু করা। তারা সেটা শুরু করতে পেরেছেন এটাই তাদের বড়ো একটা পাওয়া।