নিম্নকক্ষে ইমপিচড ট্রাম্প
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জানুয়ারি ২০২১, ৯:১৯:১৯ অপরাহ্ন
হাউস দেখাল প্রেসিডেন্টও আইনের ঊর্ধ্বে নন : স্পিকার
স্টাফ রিপোর্টার : ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেলায় এখন শেক্সপিয়রের সেই অমর উক্তিটির কথাই সবচেয়ে বেশী সামনে আসছে। ‘টু বি অর নট টু বি’! অর্থাৎ, হাউসে ইমপিচড হলেও সিনেটে কী হতে চলেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের?
বুধবার আমেরিকান সংসদের নি¤œকক্ষে নজিরবিহীন ভাবে দ্বিতীয় বার ইমপিচড হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতা রদবদলের একেবারে মুখোমুখি এসে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর ৫ দিন পরে ‘প্রাক্তন’ হয়ে যাবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সরকারি ভাবে ক্ষমতাসীন হবেন জো বাইডেন। এমন পরিস্থিতিতে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে? বর্তমান পরিস্থিতিতে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া কি পুরোপুরি সম্পূর্ণ হওয়া সম্ভব?
’’ ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের জন্য ভোটাভুটির বিষয়টি স্পষ্ট হতেই আগ্রহ তৈরি হয়েছিল ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানরা কী করেন তা নিয়ে। সকলের আগ্রহ ছিল ক’জন রিপাবলিকান ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের পক্ষে ভোট দেন। ভোট শেষে জানা গেছে, মোট ১০ জন রিপাবলিকান ট্রাম্পের অপসারণ চেয়ে ভোট দিয়েছেন। হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভে ইমপিচমেন্ট নিয়ে ভোটের ফল ২৩২-১৯৭।
আগামী ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন জো বাইডেন। সে দিনই খুলবে সিনেট। গত ১৩ মাসে দ্বিতীয় বার ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি ট্রাম্প। ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট নিয়ে হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, ‘‘আজ হাউস দেখাল প্রেসিডেন্টও আইনের ঊর্ধ্বে নন।”
এদিকে, এ বার উচ্চকক্ষ অর্থাৎ সিনেটে যাবে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব। সেখানেও রয়েছে দীর্ঘ প্রক্রিয়া। সিনেটে উপস্থিত দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন লাগবেই। সিনেটের মোট সদস্যসংখ্যা ১০০। নি¤œকক্ষে ১০ প্রতিনিধি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বা ইমপিচমেন্টের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন পেতে গেলে ডেমোক্র্যাটদের জোগাড় করতে হবে অন্তত আরও ১৯ জন সিনেটরকে। সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ। সিনেটে দোষী সাব্যস্ত হলে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আর দাঁড়াতে পারবেন না ট্রাম্প।
সাংবিধানিক এই প্রক্রিয়ার বাইরে ট্রাম্পও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন। ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একটিই অভিযোগের পক্ষে সায় দিয়েছে নি¤œকক্ষ ‘বিদ্রোহে প্ররোচনা দেওয়া’। ডেমোক্র্যাটরা যাকে অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। অর্থাৎ অভিযোগ এই যে, ক্যাপিটলে হামলার ঘটনায় সরাসরি উস্কানি দিয়েছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। বুধবার ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব নি¤œকক্ষে গৃহীত হওয়ার পর এক ভিডিয়ো বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘ক্যাপিটলে হামলার ঘটনায় তিনি দুঃখিত। কোনও ভাবেই এই ধরনের হামলা সমর্থন করা যায় না।’’
আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসাবে দু’বার ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্টের ইমপিচমেন্ট প্রসঙ্গে ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক স্কুমার বলেছেন, “ট্রাম্পই প্রথম আমেরিকার প্রেসিডেন্ট যাকে দু’বার ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হতে হল। হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের মতো সিনেটকেও বিষয়টি কার্যকর করতে হবে।