একজন বই প্রেমিকের সাজানো বাগান
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ৮:৪৬:১১ অপরাহ্ন
প্রায় দেড় যুগে বই প্রেমী এক স্বপ্নীল তরুনের হাত ধরে এক চেয়ার এবং এক টেবিলের পূঁজিতে শুরু হয় তার নবযাত্রা। একে একে দীর্ঘ ১৮ বছরে তিলে তিলে বড় হয়ে এখন প্রায় দুই হাজার খানেক বইয়ে গড়ে উঠেছে নীলপদ্ম সম্ভাবনার কার্যালয়ে বইয়ের সমাহার। অনেক দিন যাবৎ বিয়ানীবাজার কলেজ রোডস্থ আখলিমা ম্যানশনে থাকলেও এখন স্থান পরিবর্তনে দক্ষিণ বাজারের আজির প্লাজার দুতলায় নীলপদ্ম সম্ভাবনা কার্যালয়ের অবস্থান।
১৯৮২ সালে সুপাতলা গ্রামের এক মুসলিম পরিবারে হাজী মোঃ সিরাজ উদ্দিন ও মরিয়ম বেগমের দম্পতিতে জন্ম হয় সম্ভাবনাময় স্বপ্নীল এক সূর্য সন্তান মাছুম আহমদ। তাঁর স্মৃতিময় শৈশব কৈশোর থেকেই বইয়ের উপর স্বপ্ন বুনতে শুরু করে। এবং তা বাস্তবায়নের লক্ষে সর্বাত্মক ত্যাগ তিতিক্ষা শিকার করে ছুটে চলেন দুর্বার গতিতে। ছোট কাল থেকেই তাঁর বইয়ের প্রতি অনুপ্রেরণা ছিল বেশ আবেগ প্রবণ। সে জানতো তাঁর স্যার একটা কথা সর্বদা বলতেন মানুষের মৌলিক এবং মনুষ্যত্বের জায়গায়টা তৈরি হয় একমাত্র বই পড়ার মধ্য দিয়ে। তাই সে বইকে সর্ব সম্মানের আসরে মাথার উপর স্থান দিতো এবং সমান প্রাধান্য দিতো বইকে। কারণ সে বিশ্বাস করতো তার একমাত্র বই-ই ঘনিষ্ঠ সহচর বন্ধু হয়ে তাকে সর্ব স্বজনদের জন্য গাইডলাইন বের করে দেবে। তাই বইকে জীবনের পরম বন্ধু করে নেয়। সৃজন করে বইয়ের পরিবার নীলপদ্ম সম্ভাবনা কার্যালয়।
স্বপ্নবাজ এই তরুণের হাতেই পূর্ণতা পায় বইয়ের এই বিশাল সমরাজ্য। বইয়ের এই বিশাল স্তূপের মধ্যে তার শুধু সে স্বপ্নই সীমাবদ্ধ নয়। বরং এখন পাঠকদের জ্ঞান আহরণ ও বই সংগ্রহের পাঠশালা হিসেবে গড়তে চায় এবং তা বাস্তবায়নেও সদা তৎপরতা চালিয়েই যাচ্ছে। তাছাড়া স্বপ্নবাজদের কাজই হচ্ছে বাস্তবায়নমুখী স্বপ্ন দেখেই যাওয়া আর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিজেকে নিয়জিত রাখা। সে তার এই চাওয়াকে পূর্ণতা দানে সকলের দোয়া এবং ভালোবাসা প্রত্যাশী।
১৭ সদস্য বিশিষ্ট আলমিরা দ্বারা সাজানো বইয়ের এই কেবিনেট। শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি,ক্রীড়া ও রাজনীতি সহ সবধরনের বই পত্রপত্রিকা ও বিভিন্ন ম্যাগাজিন পেয়েছে অবস্থান। বইয়ের এই জগৎ যেনো মনোমুগ্ধকর হৃদয় কাড়া এক অপরুপ নান্দনিক মেধার বিকাশ। নীলপদ্ম সম্ভাবনা কার্যালয়ে যেসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্যবহুল পাঠকপ্রিয় বিশাল মেধার পরিচায়ক খ্যাতমান লেখকদের বই সংগ্রহে রয়েছে তা যে কোনো পাবলিক লাইব্রেরিতেও পাওয়া অসম্ভবের কিছু না।কারণ এই স্বপ্নদ্রষ্টা তরুণের নিজ পরিশ্রমে গড়ে ওঠা এই জ্ঞানের স্তূপ। এখান থেকে জ্ঞান পিপাসুরা গ্রহণ করতে পারবে তৃপ্তি সহকারে মেধার খোরাক। লেখক : মোঃ হাফিজুর রহমান তামিম