কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্বে সমতা অর্জনে নারীর নেতৃত্ব শীর্ষক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ মার্চ ২০২১, ৮:২৮:৩৫ অপরাহ্ন
সিলেটে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্বে সমতা অর্জনে নারী নেতৃত্ব’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে ইউএন উইমেন, ইউনিসেফ, ইউএনএফপিএ ও আইএলও।
সভায় সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী বলেছেন, চা-বাগানে জন্মনিবন্ধন ও প্রসবকালীন পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। এজন্য নারী শ্রমিকদের পাশাপাশি পুরুষদেরও স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে। নারী ও শিশুস্বাস্থ্যসেবায় সরকার পঞ্চায়েত, শ্রমিক প্রতিনিধি, মালিকপক্ষ ও ইউপি জনপ্রতিনিধির সমন্বয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, চা-বাগানে আগে হারে মাতৃমৃত্যুর ছিলো, এখন অনেকটা উন্নতি হয়েছে। এর পেছনে একটি বড় ভূমিকা রাখছে ইউনিসেফ, এফআইভিবিসহ বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থা।
বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক আল আজাদ, আইএলও’র জাতীয় প্রোগ্রাম সমন্বয়ক আলেক্সিয়াস চিচাম, সাংবাদিক ছামির মাহমুদ, বাসস সিলেট জেলা প্রতিনিধি শুয়াইবুল ইসলাম, এনজিও সংস্থা অক্সফাম এর তারেক আজিজ, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স এর সাইফুজ্জামান, আইএলও’র রিপন বাড়ই, চা শ্রমিক নেতা রাজু গোয়ালা, শ্রীমতি বাউরী, জেসমিন আক্তার, জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী প্রোগ্রামার তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী, চা শ্রমিকদের শিশু নেতৃবৃন্দের মধ্যে মাহমুদা আক্তার, লিমন, অর্পনাসহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউনিসেফ এর ফিল্ড অফিসার কাজী দিল আফরোজা ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন ইউএনএফপিএ’র টেকনিক্যাল অফিসার ডা. অনিমেষ বিশ্বাস। কীনোট উপস্থাপন করেন ইউএন উইমেন-এর তপতী সাহা।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশীদ রেনু, একাত্তরের কথার নির্বাহী সম্পাদক মঈন উদ্দিন, দৈনিক উত্তরপূর্ব বার্তা সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, দৈনিক জালালাবাদের স্টাফ রিপোর্টার এটিএম তুরাব, দোহা চৌধুরী, সিলেট ভ্যালি ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্রী দেবু বাউরী, আইপিডিএস’র সুমন করিম, জায়দুল ইসলাম, মো. মামুনুর রহমান, শামীমা পারভিন, প্রজেক্ট কো-অডিনেটর আলতাফুর রহমান, তানজিম ফেরদৌস প্রমুখ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে চা শ্রমিক নারী ও শিশুরা জানান, বহু প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও তারা নিজেদের সুরক্ষা ও সুস্বাস্থ্য বিষয়ের সচেতন হয়ে উঠেছেন। তারা এখন অন্যসব নারী -শিশুর লেখাপড়া ও অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করছেন। চা জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নে সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন শ্রমিকরা।
বক্তারা বলেন, চা শ্রমিকরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে দেশপ্রেম সর্বোচ্চ। কিন্তু, সেভাবে তাদের জীবনমান এখনও উন্নত হয়নি। বিশেষ করে শিক্ষায় চা শ্রমিক পরিবারের শিশুরা সবচেয়ে পিছিয়ে। এই জনগোষ্ঠির মধ্যে পুষ্টিহীনতাও বেশি। বিজ্ঞপ্তি