করোনায় ১ বছরে বিএনপির ৪৪০ নেতাকর্মীর মৃত্যু

জালালাবাদ রিপোর্ট: দেশব্যাপী বিএনপির শত শত নেতাকর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত কেউ হাসপাতালে আবার কেউ বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া গত বছরের মার্চ মাস থেকে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে বিএনপির চার শতাধিক নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত বিএনপির হেভিয়েট নেতাকর্মীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য গাজী মাজহারুল আনোয়ার, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, ড্যাবের সাবেক সভাপতি ডা. এ কে এম আজিজুল হক, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন মিডিয়া কমিটির সদস্য সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল প্রমুখ।
করোনায় আক্রান্ত বিএনপির নেতাদের মধ্যে রুহুল কবির রিজভী স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন। একই হাসপাতালে খন্দকার মোশাররফ হোসেন চিকিৎসাধীন। আর সেলিমা রহমান ইউনাইটেড হসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, করোনা সংক্রমণে এ পর্যন্ত বিএনপির ৪শ ৪০ জন নেতাকর্মী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সিলেট সাবেক মহানগর বিএনপি সভাপতি এম এ হক, ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান, কুমিল্লা বিভাগ সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল খান ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ।
এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, ওলামা দলের কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটি সদস্য মওলানা কাসেমী, গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি খন্দকার আহাদ আহমেদ, ঢাকা পল্লবী থানা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. আনিসুর রহমান, সাবেক মন্ত্রী টি এম গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য অ্যাডভোকেট কবির চৌধুরী, জাতীয় ট্যাক্সসেস বার সভাপতি অ্যাডভোকেট গফুর মজুমদার, শ্রমিক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক মোল্লা, গাজীপুর শ্রীপুর পৌরসভা বিএনপি মেয়র প্রার্থী শহিদুল্লাহ শহীদ নেতৃবৃন্দ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান।