লকডাউন শুরু
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ এপ্রিল ২০২১, ৫:০১:১২ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক :
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় আজ থেকে সারাদেশে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন শুরু হয়েছে। রোববার দুপুর পৌনে ১২টায় আজ ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী এ লকডাউনের ঘোষণা করেছে সরকার। লকডাউন চলাকালে দেশের সব দোকান ও মার্কেট বন্ধ থাকবে। রোববার এক সরকারি নির্দেশনায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এছাড়া খাদ্য সামগ্রীর বাজার ও মুদি দোকান সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ায় সরকার দেশব্যাপী এক সপ্তাহের লকডাউন আরোপ করেছে।
সকল প্রকার গণপরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা, জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া, বিদেশগামী/বিদেশফেরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে। সব সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও আদালত এবং বেসরকারি অফিস কেবল জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় জনবলকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় অফিসে আনা-নেওয়া করতে পারবে। শিল্প-কারখানা ও নির্মাণ কার্যাদি চালু থাকবে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া (ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় কেবল খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ করা যাবে না। শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে। তবে দোকান, পাইকারি ও খুচরা পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে কেনাবেচা করতে পারবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বাবস্থায় কর্মচারীদের মধ্যে আবশ্যিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং কোনো ক্রেতা স্বশরীরে যেতে পারবে না। কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনা-বেচা করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ/স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে। ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।
নির্দেশনা বাস্তবায়নে সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল দিবে এবং এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে এই নির্দেশনায় জানানো হয় ।