বিয়ানীবাজারে এক সাটার খুলে চলছে ব্যবসা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ এপ্রিল ২০২১, ৯:১২:২৩ অপরাহ্ন
বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি: করোনা পরিস্থিতি অবনতির প্রেক্ষিতে সরকার ঘোষিত ৭ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে সোমবার। লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও দুরপাল্লার বাস ছাড়া চলেছে বেশিরভাগ যানবাহন। দোকানপাট এক সাটার খুলেছেন ব্যবসা করেছেন অনেক ব্যবসায়ী। তারা বলছেন, সব চলছে স্বাভাবিক, লকডাউন কি শুধু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য?
সরেজমিনে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে পৌরশহর এবং উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। যদিও ১ম দিনে বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক নুর এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুশফিকুন নূর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১৬ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক জরিমানা করেছেন। ১ম দিনের ন্যায় দ্বিতীয় দিন অনেকটা কঠোর ছিল প্রশাসন। এদিন নির্ধারিত সময়ে দোকানপাট বন্ধ না করায় কয়েকটি দোকানে জরিমানা করা হয়।
এমন পরিস্থিতিতেও ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই দোকানপাট খুলছেন এক সাটার করে। কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বললে তারা জানান, ঈদের জন্য দোকানে মালামাল এসেছে, সেগুলো সাজাচ্ছেন। তবে দোকানে কাস্টমার কেনো এমন প্রশ্নের সদুত্তর দেননি বেশিরভাগ ব্যবসায়ী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু ব্যবসায়ী জানান, লকডাউনের মধ্যে সবকিছু চলছে স্বাভাবিক, শুধু দোকানপাট বন্ধ কেনো? গত রমজানে বিয়ানীবাজারের সব মার্কেটগুলো বন্ধ থাকায় তারা অর্থনৈতিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, এবার সেই ক্ষতি পুষিয়ে উঠার চেষ্টায় তারা অনেকটা লুকোচুরি করে ব্যবসা করছেন। তাদের দাবি পরিবারের কথা বিবেচনা করে সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দিষ্ট সময় দোকানপাট খোলার অনুমতি দিবেন।
এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আজাদ আহমদ জানান, সরকারের ৭ দিনের দেয়া লকডাউন ব্যবসায়ীরা মেনে নিলেও, আগামীতে নির্দিষ্ট সময় দোকান খোলার সুযোগ দিয়ে যাতে লকডাউন দেয়া হয় নতুবা গতবারের ন্যায় ক্ষতি হলে তা পুষিয়ে ওঠা অনেকটা অসম্ভব। বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক নুর জানান, তারা সরকারি নির্দেশনা মানতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন, প্রয়োজনে কঠোরও হচ্ছেন।