নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যাদুকাটায় গঙ্গাস্নান
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ এপ্রিল ২০২১, ৬:১৪:৩২ অপরাহ্ন
তাহিরপুর প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তের যাদুকাটা নদীতে জেলা প্রশাসনের জারিকৃত সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাজার হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা গঙ্গাস্নান করছেন। একইভাবে শাহ আরেফিনের ওরসেও তার ভক্তবৃন্দ এসেছেন। শুক্রবার ভোর থেকেই হাজার হাজার ভক্ত কোনো রকম কার্যবিধির তোয়াক্কা না করে গঙ্গাস্নান করেন যাদুকাটা নদীতে।
এর পূর্বে বৃহস্পতিবার রাতেই হিন্দু ধর্মের সাধক ও বারুণি স্নানের প্রবর্তক শ্রী অদ্বৈত আচার্য্যের জন্মস্থান যাদুকাটা নদী তীরে নবগ্রামে গিয়ে পৌঁছান হাজার হাজার দর্শনার্থী। এ সময় প্রশাসন তাদের বারণ করেও আটকাতে পারেনি।
এদিকে, সচেতন মহল ক্ষোভের সাথে জানান, সরকারী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু কেউ সরকারী বিধিনিষেধ মানছে না। অথচ প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কোন কঠোরভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে করানোভাইরাসের প্রাদুর্ভাবজনিত পরিস্থিতি আরোও ভয়াবহ হবে। এর ফলাফল আমাদেরকেই ভোগ করতে হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করানোভাইরাসের প্রাদুর্ভাবজনিত পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় শাহ আরেফিন (রহ.) এর ওরস, পণাতীর্থ মেলা ও স্নানোৎসব বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি পর্যটন স্পটগুলোতে জনসমাগম এড়াতে ১৪ দিনের নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়েছে। সরকারি বিধিনিষেধ থাকায় এবারের ওরস ও গঙ্গা স্নানোৎসবের সকল ধরনের আয়োজন বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল লতিফ তরফদার জানান, এবার করোনার কারণে যাদুকাটায় বারুণি স্নানে আসতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু লুকিয়ে লুকিয়ে তারা পুণ্যস্নান সম্পন্ন করছেন। তবে আমরা কঠোর হওয়ায় এখন তাদের উপস্থিতি কমেছে।
তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ জানান, করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় শাহ আরেফিন (রহ.) এর ওরস ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের গঙ্গা স্নানোৎসবসহ সকল ধরনের জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী গঙ্গা স্নান ও পণাতীর্থ বারুণী মেলায় গতবছরের মতো এবারও বন্ধ আছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দু’ধর্মের মানুষজনকে ফিরিয়ে দিলেও অনেকে লুকিয়ে যাচ্ছে।