কমলগঞ্জে বোরো ধান শুকিয়ে চিটা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ এপ্রিল ২০২১, ৭:৩৪:২২ অপরাহ্ন
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:
এক সময়ের বৃহত্তর সিলেটের শস্যভান্ডার খ্যাত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় কয়েকশ’ বিঘা জমিতে বোরো ধান শুকিয়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়ার তারতম্যজনিত কারণে গরম ঝড়ো হাওয়ায় ব্যাকটেরিয়াল পেনিক্যাল ব্লাইড নামে ব্যাকটেরিয়ার কারণে ধানের থোর বের হওয়ার পর এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এতে কৃষকরা উৎকন্ঠিত হয়ে পড়েছেন। শুক্রবার বিকালে মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের চিতলীয়া, জাঙ্গালিয়া, ইসলামপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর, গুলেরহাওর, আদমপুর ইউনিয়ন, শমশেরনগর, মুন্সীবাজার ও পতনঊষার ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকাসহ উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় বোরো ধানে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি বৃষ্টিপাত ছাড়া গরম ঝড়ো বাতাস দেয়ার পর থেকে বোরো ধানের শীষ বের হওয়ার পর ধানের দুধ শুকিয়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে। এভাবে জমির ধানক্ষেত ধীরে ধীরে সাদা হয়ে যাচ্ছে। এতে কৃষকরা চিন্তিত হয়ে পড়ছেন।
শ্রীপুর এলাকার কৃষক নজরুল ইসলাম, পারভেজ মিয়া, আব্দুল বারী, সাঞ্জু মিয়া জানান, ধানের শিষ থেকে থোর বের হওয়ার পর প্রথমে ধান কালো হয়ে লালচে রং ধারণ করে পরে সাদা হয়ে যাচ্ছে। ধানের দুধ শুকিয়ে চিটা ধারণ করছে। এভাবে পর্যায়ক্রমে আবাদি জমির বিস্তীর্ণ এলাকা ছড়িয়ে পড়ছে। এতে আমরা কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছি।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কমলগঞ্জে এ বছর ৪ হাজার ৪ শত ৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। তবে আবহাওয়ার তারতম্য জনিত কারণে সাধারণত দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডা এবং ঝড়ো বাতাসের সাথে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ব্যাকটেরিয়াল পেনিক্যাল ব্লাইড নামে ধানে আংশিক ক্ষতি হচ্ছে।
কমলগঞ্জে বোরো ধানে চিটার খবর পেয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার এর উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী শুক্রবার বিকালে উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে সরেজমিন উপজেলার চিতলীয়া, জাঙ্গালিয়াসহ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার এর উপ-পরিচালক সাহেবকে নিয়ে সরেজমিন মাঠ পরিদর্শন করেছি। আবহাওয়ার তারতম্যজনিত কারণে আংশিক ক্ষতি হয়েছে। আমরা কৃষকদের জমিতে পানি রাখতে পরামর্শ দিয়েছি। তবে কৃষকরা ধান পাবে, চিন্তার কারণ নেই। আর বৃষ্টিপাত হলে এ সমস্যা থাকবে না বলে তিনি দাবি করেন।