স্বাস্থ্যসেবায় এগিয়ে সুনামগঞ্জ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ এপ্রিল ২০২১, ৭:৩৭:২০ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা:
করোনার ১ম ও ২য় ঢেউয়ের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবায় ব্যাপক অবদান রাখছে সুনামগঞ্জ মা ও শিশু কল্যাণ (মাতৃমঙ্গল) কেন্দ্র। মহান স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে শহরের প্রাণকেন্দ্রে গড়ে উঠা এই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি জেলার ১১টি উপজেলার বিশেষ করে মা ও শিশুদের চিকিৎসা সেবায় ব্যাপক অবদান রেখে যাচ্ছে। অবকাঠামোগত সমস্যা থাকার পরও সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি জেলার প্রসূতি মা, শিশু স্বাস্থ্য, জন্ম নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমসহ নানাবিধ রোগের চিকিৎসা এবং সিজারিয়ান অপারেশন চালিয়ে জেলায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছে। প্রায়ই বিভাগীয় পর্যায়ে শীর্ষ স্থান লাভ করে পুরস্কার অর্জন করার গৌরব অর্জন করছে। একটি টিনসেড ভবনে মাত্র ৬ শয্যার এ কেন্দ্রটির সেবার মান নিয়ে জনগণের মধ্যে কখনও কোন বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। ২ জন চিকিৎসকের মধ্যে রয়েছেন মাত্র ১ জন মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক)।
দীর্ঘদিন যাবৎ ডা. জসীম উদ্দিন খান এ প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করে প্রসূতি মা, শিশু স্বাস্থ্য, পুরুষ ও মহিলাদের স্থায়ী বন্ধ্যাকরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। স্বাভাবিক সন্তান প্রসব কার্যক্রম ছাড়াও প্রতিমাসে গড়ে ৮/১০টি সিজারিয়ান অপারেশন হয়ে থাকে। সিজারিয়ান অপারেশনে কোন টাকা পয়সা নেওয়া হয়না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। বেশিরভাগ ঔষধই হাসপাতাল হতে দেওয়া হয়। দরিদ্র রোগীদের একমাত্র ভরসাস্থল হচ্ছে এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠানটি।
বৈশ্বিক মহামারী করোনার ১ম ঢেউয়ের সময় ডা. জসীম উদ্দিন খানসহ এনেস্থেসিয়ার ডা. একেএম মফিজুল ইসলাম ও অন্যান্য স্থাস্থ্যকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হন। কিন্তু বন্ধ হয়নি সেবা কার্যক্রম। নিয়মানুসারেই পরিচালিত হয়েছে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ডা. একেএম মফিজুল ইসলাম তিনিও ঢাকায় চিকিৎসা সেবা গ্রহন করে সুস্থ হয়েছেন। তিনি অবসরে গিয়েও সুযোগমত এ প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এ প্রতিষ্ঠানের স্বাস্থ্যকর্মীরা সেবায় খুবই আন্তরিক। নীতি আদর্শের মধ্য দিয়েই এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি স্টাফ নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
গত ২০১৯ ইং সনে ইওসি প্রোগ্রামে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমে বিভাগের মধ্যে উক্ত কেন্দ্র ১ম স্থান অধিকার করে। এর পূর্বেও বেশ কয়েকবার বিভাগীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে ১ম স্থান অধিকার করেছে।