বুধবার থেকে আটঘাট বেঁধে লকডাউন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ এপ্রিল ২০২১, ৯:১১:২১ অপরাহ্ন
‘সব অফিস বন্ধ, সবাই ঘরে থাকবেন, শুধু জরুরী সেবা খোলা’ : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার : মহামারী করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির লাগাম টানতে দেশে ১৪ এপ্রিল বুধবার থেকে লকডাউনের ঘোষণা দিতে যাচ্ছে সরকার। ৫ থেকে ১১ এপ্রিল লকডাউন থাকলেও মানুষকে সম্পূর্ণভাবে ঘরে রাখা যায়নি। তাই এবার আটঘাট বেঁধে মাঠে নামছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তবে অন্তত দুই সপ্তাহ ‘পূর্ণ লকডাউন’ ছাড়া করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না বলে মনে করছে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। কমিটির ৩০তম সভায় তাই সারা দেশে দুই সপ্তাহ ‘পূর্ণ লকডাউন’ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। সভার সুপারিশ নিয়ে জাতীয় কারিগরী পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লার সই করা একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। কমিটি বিশেষ করে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোয় ‘পূর্ণ লকডাউন’ দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
কমিটি মনে করে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধিতে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত যে ১৮টি নির্দেশনা জারি হয়েছিল, সেগুলো সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না। তাই ‘বিধিনিষেধ আরও শক্তভাবে অনুসরণ করা দরকার’।
শয্যা সংখ্যা, আইসিইউ সুবিধা, অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচেষ্ট বলে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেহেতু হাসপাতালের রোগী ভর্তির বাড়তি চাপ বাড়ছে, তাই হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা দ্রুত বাড়ানো দরকার।
কমিটি বলছে, করোনাভাইরাসের টেষ্ট করতে আসা ব্যক্তিদের একটা বড় অংশ বিদেশগামী যাত্রী। বিদেশে অভিবাসী কর্মজীবী মানুষ ছাড়া অন্যদের পরীক্ষার জন্য বেসরকারী পরীক্ষাগারে পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন। এতে রোগীদের পরীক্ষা ও রিপোর্ট দ্রুত প্রদান করে আইসোলেশন নিশ্চিত করা যাবে, যা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, এই এক সপ্তাহ মানুষ পুরোপুরি ঘরে থাকবে। লকডাউনের বিষয়ে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘১৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এক সপ্তাহের জন্য আমরা কঠোর লকডাউনে যাচ্ছি। এটি হবে পরিপূর্ণ-কমপ্লিট লকডাউন। যেখানে মানুষজন সকলেই সহযোগিতা করবেন। বাসায় থাকবেন, বাইরে যাবেন না। চলাফেরা থেকে প্রত্যেক ক্ষেত্রেই সংযত আচরণ করতে হবে।’
সব সরকারি অফিস বন্ধ থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই পাবলিক লকডাউনের মধ্যে কোনও অফিস-আদালত খোলা থাকবে না। জরুরী সেবা ছাড়া সবকিছুই বন্ধ থাকবে। আমরা চাইবো এক সপ্তাহ মানুষ সম্পূর্ণ ঘরে থাকবেন। সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে কঠোর লকডাউন আমরা মেনে চলবো।’