রমজানের শিক্ষায় আলোকিত হোক জীবন
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ এপ্রিল ২০২১, ৬:৩৬:৩৪ অপরাহ্ন
মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন খন্দকার
আমরা রোজা রাখি কিন্তু লোভ-লালসা, কামনা-বাসনা পরিত্যাগ করতে পারিনা। মিথ্যা দিয়ে জীবন সাজাই। অথচ প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) বলেছেন, ‘কেউ যদি রোজা রেখেও মিথ্যা কথা বলা ও খারাপ কাজ পরিত্যাগ না করে তবে তার শুধু পানাহার ত্যাগ করা (অর্থাৎ উপবাস ও তৃষ্ণার্ত থাকা) আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই’ (সহীহ বুখারী)।
মাহে রমজান প্রতিবছর রহমত, মাগফিরাত এবং নাজাতের বার্তা নিয়ে মুমিনদের দুয়ারে হাজির হয়। মাহে রমজানের রোজা ইসলামের রুকন সমূহের মধ্যে তৃতীয় রুকন। নামাজের পরেই ইহার স্থান। আরবি শাবান মাসের পরে মহিমান্বিত এই মাসের আগমন। রোজা শব্দটি ফারসি আর আরবি হচ্ছে সাওম। এর আভিধানিক অর্থ বিরত থাকা, পরিত্যাগ করা। শরীয়তের পরিভাষায় আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়তসহকারে পানাহার ও যৌনাচার থেকে বিরত থাকাকে সাওম বা রোজা বলে। রোজার উদ্দেশ্য হল- আল্লাহর বান্দা রাসূল (সা:) এর উম্মতকে পরিশুদ্ধ এবং বেহেশতের উপযোগী করে তোলা। এককথায় খোদাভীরু লোক তৈরী করা। আল্লাহ চাননা তাঁর প্রিয় বান্দারা শয়তানের ধোঁকায় এবং নফসের কামনা-বাসনায় বিপদগামী হোক। তাই যুগে যুগে নবী-রাসূল ও আসমানী কিতাব দিয়ে সঠিক পথের সন্ধান দিয়েছেন। সঠিক জ্ঞান এবং বিশুদ্ধ অন্তর না থাকার কারণে মানবজাতি বারবার পদস্খলিত হয়েছে। ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে উপনীত অসভ্য জাতিকে সভ্য জাতির মুকুট পরিয়ে ছিলেন যিনি, তিনি হলেন- সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী, মানবজাতির মুক্তির দিশারী বিশ্ব ইতিহাসের শ্রেষ্ঠনেতা হযরত মুহাম্মদ (সা:)। যার আগমনে ধন্য হয়েছিল পৃথিবী, যাকে সৃষ্টি না করলে জগত সৃষ্টি করতেন না। তিনি আল্লাহর তরফ থেকে নিয়ে আসলেন পবিত্র সেরা মাস রমজান। প্রত্যেক নবীর উম্মতদের উপর রোজার বিধান ছিল। আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেন- ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হলো যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর’ (সূরা বাকারা, আয়াত- ১৮৩)।
তাকওয়া হল রোজার মূল বিষয়। তাকওয়া কি এ বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা জরুরী। তাকওয়ার সংজ্ঞা প্রসঙ্গে হযরত উমর (রা.) কাব আল আহবার (রা.) কে জিজ্ঞেস করেন, তাকওয়া কি? উত্তরে কাব আল আহবার (রা.) জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কি কখনো কন্টকাকীর্ণ পথে চলেছেন? তখন কি পন্থা অবলম্বন করেন? হযরত উমর (রা.) বলেন, আমি সতর্ক হয়ে কাপড় গুটিয়ে চলেছি। কাব আল আহবার (রা.) বলেন, ইহাই তাকওয়া। সহজ ভাষায় আমাদের সমাজের চারিদিকে পাপ-পঙ্কিলতার কাঁটা ছড়ানো, আল্লাহর ভয়ে যাবতীয় গুনাহ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলার নামই হচ্ছে তাকওয়া। যিনি তাকওয়ার গুণে বিভূষিত, তাকে মুত্তাকী বলে। মানুষ মূলত দু’টি শক্তির কাছে হেরে গিয়েই পাপে লিপ্ত হয়। শক্তি দু’টি হল একটি শয়তান অপরটি নফ্স (কু-প্রবৃত্তি)। রমজানে আল্লাহ শয়তানকে বন্দি করে রাখেন। আর রোজার কারণে নফ্সে শয়তান দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে গুনাহ বর্জন ও নেক আমল অর্জন রোজাদারদের জন্য সহজ হয়ে যায়। রাসূল (সা:) বলেন, ‘রমজান মাসে বেহেস্তের দরজাগুলো উম্মুক্ত করে দেয়া হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ থাকে। এবং শয়তানকে শৃঙ্খলিত করে রাখা হয়’ (বুখারী, মুসলিম)। আমরা রোজা রাখি কিন্তু লোভ-লালসা, কামনা-বাসনা পরিত্যাগ করতে পারিনা। মিথ্যা দিয়ে জীবন সাজাই। অথচ প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) বলেছেন, ‘কেউ যদি রোজা রেখেও মিথ্যা কথা বলা ও খারাপ কাজ পরিত্যাগ না করে তবে তার শুধু পানাহার ত্যাগ করা (অর্থাৎ উপবাস ও তৃষ্ণার্ত থাকা) আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই’ (সহীহ বুখারী)।
জান্নাতে প্রবেশ করার উত্তম আমল হচ্ছে রোজা, হযরত আবু উসামা (রা.) হতে বর্ণিত, ‘আমি রাসূলুল্লাহ (সা:) এর দরবারে গিয়ে বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ আমাকে এমন একটি আমল বলে দিন যার দ্বারা আমি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারি। রাসূলুল্লাহ বললেন, তুমি রোজা রাখ। কেননা এর সমতুল্য কিছু নেই। আমি পুনরায় জিজ্ঞাসা করলাম। রাসূল (সা:) জবাব দিলেন, তুমি রোজা রাখ’ (মুসনাদে আহমদ)। রমজান মাসে বেশি বেশি নফল ইবাদত করা উচিত। হাদিস শরীফে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো নফল কাজ করল সে যেন অন্য মাসে একটি ফরজই আদায় করল। আর যে রমজান মাসে কোন ফরজ আদায় করল সে যেন অন্য মাসে ৭০টি ফরজ আদায় করল। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, আমার বান্দা নফল ইবাদতের মাধ্যমে আমার নৈকট্য অর্জন করতে থাকে, আমি তাকে ভালোবাসি। যখন আমি তাকে ভালোবাসি সে আমার কান হয়ে যায় যা দিয়ে সে শোনে। আমার চক্ষু হয়ে যায় যা দিয়ে সে দেখে। হাত হয়ে যায় যা দিয়ে সে ধরে। পা হয়ে যায় যা দিয়ে সে চলে’ (সহীহ বুখারী)। রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে এসেছে-হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত, রাসূল (সা:) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমান ও ইহতেছাবের সাথে রোজা রাখবে তার পূর্ববর্তী সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে’ (বুখারী, মুসলিম)। রমজান মাস আমাদের কাছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই মাসে মানব জাতির সংবিধান অর্থাৎ হেদায়ত গ্রন্থ আল কোরআন নাজিল হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘রমজান মাসেই কুরআন নাযিল করা হয়েছে। যা মানবজাতির হেদায়াত ও সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী’ (সূরা বাকারা, আয়াত-১৮৫)। রমজান মাসে সপ্তম আকাশের লওহে মাহফুজ থেকে দুনিয়ার আকাশের বায়তুল ইজ্জতে পবিত্র আল কোরআন একবারে নাযিল হয়েছে। সেখান হতে আবার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে অল্প অল্প করে নবী করীম (সা:) এর প্রতি নাযিল হয়েছে। রমজান মাসে গুরুত্ব সহকারে রোজা পালন জান্নাত পাওয়ার একটি সঠিক পথ। ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি ঈমান আনল, সালাত কায়েম করল, যাকাত আদায় করল, রমজান মাসে রোজা পালন করল তার জন্য আল্লাহর উপর সে বান্দার অধিকার হল তাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেয়া’ (সহীহ বুখারী)। রোজাদারের মর্যাদা প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে, হযরত সাহল ইবনে সা’দ (রা.) হতে বর্ণিত, নবী করীম (সা:) এরশাদ করেছেন, ‘বেহেশতের আটটি দরজা রয়েছে। এর মধ্যে একটি দরজার নাম রাইয়ান। রোজাদার ব্যতীত আর কেউ ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না’ (বুখারী, মুসলিম)। নেক আমলের মাধ্যমে প্রত্যেক মানুষ তার সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য লাভ করে। রোজার প্রতিদান সম্পর্কে হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা:) বলেন, ‘মানুষের প্রতিটি আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি করা হয়। একটি নেকির সওয়াব দশগুণ থেকে সাতশ গুণ পর্যন্ত হতে পারে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, কিন্তু রোজার বিয়য়টি আলাদা। কেননা তা আমার জন্য এবং আমি নিজেই এর বিনিময় প্রদান করবো। বান্দা একমাত্র আমার জন্য নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং পানাহার পরিত্যাগ করেছে’।
রোজার ফজিলত সম্পর্কে মহানবী (সা:) বলেছেন, ‘রোজা পালনকারীর জন্য রয়েছে দু’টি বিশেষ আনন্দ মুহূর্ত। একটি হল ইফতারের সময় আর দ্বিতীয়টি হল তার রবের সাথে সাক্ষাতের সময়’ (বুখারী, মুসলিম)। রমজান মাস হচ্ছে রহমত ও বরকতের মাস। ক্ষমা এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস। রাসূল (সা:) বলেন, ‘রোজা ঢাল স্বরূপ এবং জাহান্নাম থেকে বাঁচার এক মজবুত দূর্গ’ (মুসনাদে আহমদ)। হযরত কা’ব বিন উজরা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার রাসূল (সা:) আমাদেরকে বললেন, তোমরা মিম্বারের কাছে হাজির হও। আমরা সকলে সেখানে উপস্থিত হলাম। যখন তিনি মিম্বারের প্রথম সিঁড়িতে পা রাখলেন, বললেন আমীন। যখন দ্বিতীয় সিঁড়িতে পা রাখলেন, বললেন আমীন। আবার যখন তৃতীয় সিঁড়িতে পা রাখলেন, বললেন আমীন। সাহাবী বলেন, যখন রাসূল (সা:) মিম্বার থেকে নামলেন, আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে রাসূল (সা:) আমরা আজ এমন কিছু শুনলাম, যা আগে কখনো শুনিনি। উওরে তিনি বললেন, জিব্রাইল (আ.) আমার কাছে আগমন করেছিলেন। যখন আমি প্রথম সিঁড়িতে পা রাখলাম তখন তিনি বললেন, ধ্বংস হোক ওই ব্যক্তির যে রমজান মাস পেল তবু তার গুনাহ মাফ হলো না, আমি বললাম আমীন।
যখন দ্বিতীয় সিঁড়িতে পা রাখলাম তখন তিনি বললেন, ধ্বংস ওই ব্যক্তির জন্য যার সামনে আপনার নাম উচ্চারণ করা হলো অথচ সে আপনার প্রতি দরূদ পাঠ করলো না, আমি বললাম আমীন। যখন আমি তৃতীয় সিঁড়িতে পা রাখলাম তখন তিনি বললেন ধ্বংস ওই ব্যক্তির যে বৃদ্ধ পিতা-মাতা উভয়কে বা একজনকে পেল, অথচ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারল না, আমি বললাম আমীন’ (মুসতাদরাকে হাকেম)। অন্য এক হাদিসে এসেছে- ‘ওই ব্যক্তির নাক ধূলায় ধূসরিত হোক, যার কাছে রমজান মাস এসে চলে গেল অথচ পাপগুলো ক্ষমা করিয়ে নিতে পারল না’ (তিরমিযী)। রাসূল (সা:) বলেন, যারা রমজান মাসে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত রোজা পালন করেছে, তারা ওই দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে যাবে। যেদিন তাদের মাতা তাদের নিষ্পাপ রূপে প্রসব করেছিলেন। রমজান মাসে অধস্তন ব্যক্তির কাজে বোঝা হালকা করে দিতে হবে। আপনার একটু সহানুভূতি তার জন্য কর্মের মাঝে রোজা রাখা সহজ হয়ে যাবে। হযরত সালমান ফারসি (রা.) হতে বর্ণিত রাসূল (সা:) বলেন, আর যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো রোজাদার শ্রমিককে কাজের বোঝা হালকা করে দিবে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন এবং জান্নাত দান করবেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) হতে বর্ণিত রাসূল (সা:) বলেছেন, ‘রোজা ও কোরআন কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, হে রব আমি তাকে খাদ্য ও যৌন সম্ভোগ থেকে বিরত রেখেছি। অতএব তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। কোরআন বলবে আমি তাকে রাতের ঘুম থেকে বিরত রেখেছি। অতএব তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। রাসূল (সা:) বলেন, অত:পর তাদের উভয়ের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে’ (মুসনাদে আহমদ)। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত রাসূল (সা:) বলেছেন, ‘শপথ সেই সত্ত্বার যার হাতে রয়েছে মুহাম্মদের প্রাণ। রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহ তায়ালার কাছে মেশক আম্বরের সুগন্ধির চেয়েও অধিক সুগন্ধময়’ (সহীহ বুখারী)।
রমজান মাসে রয়েছে লাইলাতুল ক্বদরের ন্যায় বরকতময় রজনী মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) অবতীর্ণ করেছি ক্বদরের রাতে। আর ক্বদরের রাত সম্বন্ধে তুমি কি জানো? ক্বদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতারা ও রুহ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিই শান্তি, বিরাজ করে উষার আর্বিভাব পর্যন্ত’ (সূরা ক্বদর)। হাদিস শরীফে উল্লেখ রয়েছে, শেষ রাতে আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে ডেকে বলেতে থাকেন, কে আছো ক্ষমা চাওয়ার? ক্ষমা চাও, আমি মাফ করে দেব। উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা:) রাসূল পাক (সা:) কে প্রশ্ন করেন ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা:) আমি যদি শবে ক্বদর পাই, তাহলে আমি ওই রাতে কি দোয়া পড়ব? উওরে রাসূল (সা:) বলেন, হে আয়েশা! তুমি পড়বে আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি অর্থাৎ হে আল্লাহ আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করাকে পছন্দ করেন, অতএব আমাকে আপনি ক্ষমা করে দিন। রাসূল (সা:) বলেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসে কোন রোজাদারকে ইফতার করাবে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন এবং জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং উক্ত রোজাদারের সমান সওয়াব পাবে কিন্তু যে ব্যক্তি অর্থাৎ যে রোজাদার ইফতার করেছেন তার সওয়াব থেকে মোটেও সওয়াব কমবে না।
আর যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো রোজাদারকে পেট ভর্তি করে খাওয়াবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে কিয়ামতের দিন হাউজে কাউছার থেকে এমন পানি পান করাবেন, বেহেশতে প্রবেশ পর্যন্ত আর পিপাসা পাবেনা। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা:) থেকে বর্ণিত, ‘নবী করীম (সা:) ইরশাদ করেন, ইফতারের সময় রোজাদার যখন দোয়া করে তখন তার দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। হযরত আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত রাসূল (সা:) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে শরীয়ত সম্মত কোনো কারণ ছাড়া রমজানের একটি রোজাও ভাঙ্গে সে রমজানের বাইরে সারাজীবন রোজা রাখলেও এর বদলা হবেনা’ (তিরমিযি, আবু দাউদ)। পরিশেষে, দৈনন্দিন জীবনে ইসলামের অনুশাসন গুলো মেনে চলে, রমজানের মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে; পরিশুদ্ধ জীবন গড়ার প্রত্যয়ে উদ্দীপ্ত হোক আগামীর পথচলা। আল্লাহ যেন, আমাদেরকে রমজানের গুরুত্ব এবং মর্যাদা বোঝার শক্তি বৃদ্ধি করে দেন। সকল প্রকার পাপ কর্ম থেকে বিরত থাকার তৌফিক দিন- আমীন ।