পুরুষশূন্য সালথার ৫০ গ্রাম
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ এপ্রিল ২০২১, ৯:৪৪:৪১ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক : ফরিদপুরের সালথা থানায় তাণ্ডবের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর গ্রেফতার আতঙ্কে উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের অন্তত ৫০টি গ্রাম এখন পুরুষশূন্য। ঘটনায় জড়িত অনেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন। আবার ঘটনার সাথে জড়িত নেই এমন অনেকে গ্রেফতার ও হয়রানির ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
রবিবার (১১ এপ্রিল) সকালে এলাকা ঘুরে দেখা গেছে উপজেলার সোনাপুর, ভাওয়াল ও রামকান্তুপুর ইউনিয়নের অন্তত ৫০টি গ্রামে সুনসান নীরবতা। এসব গ্রামের অনেক মানুষকে তাণ্ডবের মামলায় আসামি করা হয়েছে। প্রতিদিনই পুলিশ আসামি গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছেন। ওই সব গ্রামের হাট-বাজার, মাঠ, বাড়ি-ঘর গুলোতে নারী আর শিশু ছাড়া কোন সদস্য দেখতে পাওয়া যায়নি। এ সময় বাড়ির নারী ও শিশুদের চোখে মুখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বাইরের মানুষ দেখলেই তারা ভয়ে দৌড়ে সরে যাচ্ছেন। মাঠে নেই কোন কৃষক। এতে মাঠে থাকা হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি সম্ভাবনা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক গ্রামের কয়েকজন বলেন, তাণ্ডবের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এজহারভুক্ত ২৬১ জনকে ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ৩-৪ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। যার ফলে যে কাউকেই পুলিশ গ্রেফতার করার সুযোগ রয়েছে বলেই অনেকেই আতঙ্কে রয়েছেন। তাণ্ডবের ঘটনায় ৬১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে গ্রেফতারকৃত বেশির ভাগ আসামিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশ।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান জানান, যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়, তাদের আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কোন কারণ নেই। পুলিশ কাউকে হয়রানি করছে না। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের গ্রেফতারি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, কোন সহিংস ঘটনা ঘটলে কয়েক দিনের জন্য বিভিন্ন গ্রামে এ জাতীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দ্রুতই এ অবস্থা কেটে যাবে।