লকডাউনের পঞ্চম দিন : চলাচলে আরো বেড়েছে, মাস্কে আগ্রহ বাড়ছেনা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ এপ্রিল ২০২১, ১২:১০:৩১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : রোববার বিকেল সোয়া চারটা। নগরীর কোর্টপয়েন্ট এলাকা। একের পর এক লেগুনা, মাইক্রবাস, পিকআপ ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, সিএনজি অটোরিকশা ও প্রাইভেট কার ছুটছে গন্তব্যের দিকে। বিশেষ করে বাণিজ্যিক এলাকা বন্দরবাজার ও আম্বরখানা থেকে ঘরমুখো মানুষ এসব যানবাহনে বাড়ি ফিরছিলেন। এছাড়া অন্যদিনের চেয়ে সড়কে বেড়েছে রিকশার চাপও। সব মিলিয়ে গতকাল অনেকটা স্বাভাবিক সময়ের মতোই দৃশ্য ছিলো।
করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে বুধবার সকাল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ চালু করে সরকার। এ বিধি নিষেধকে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ বলা হচ্ছে। এই নিষেধাজ্ঞা চলবে ২১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত। শুধুমাত্র শিল্প কারখানা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাদে প্রায় সব ধরনের সরকারী বেসরকারী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। এতে ভাসমান লোকজনের একটি বড় অংশ লকডাউনের আগেই নগরী ছেড়েছে। এতে মানুষের চাপ কম থাকলেও লকডাউনের পঞ্চম দিনে ধীরে ধীরে সরব হতে যাচ্ছে সড়ক-মহাসড়ক।
রোববার নগরের জিন্দাবাজার, আম্বরখানা, টিলাগড়, রিকাবি বাজার ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। তবে কয়েকটি স্থানে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে যানবাহন আটক করার দৃশ্য দেখা গেছে।
এদিকে সাধারণ মানুষদের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মানার তেমন আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়নি। বিশেষ করে রিকশা চালক, গাড়ির চালক হেলপারদের মাস্ক পড়ার আগ্রহ কম। লকডাউনের পঞ্চম দিনে নগরীর মূল সড়কের আশেপাশের অনেক দোকানপাট খোলা দেখা গেছে। খাদ্যপণ্য বাদেও বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দোকানগুলো খোলা ছিলো। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত লোকজনের প্রয়োজনীয় কেনাকাটাও করতে দেখা গেছে। এছাড়া ভাসমান হকারদের সংখ্যাও আগের চার দিনের চেয়ে বেড়েছে। বিশেষ করে সড়কের ভাসমান সবজি ও মৌসুমী ফল বিক্রেতাদের উপস্থিতি ছিলো লক্ষ্য করার মতো। কাঁচাবাজারগুলোতে সকাল থেকে মানুষ প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে বেরিয়েছে।
নগরী বন্দরবাজার কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় তল্লাশি চৌকিতে যানবাহন থামিয়ে মুভমেন্ট পাস আছে কিনা জানতে চাইছেন পুলিশ সদস্যরা। যারা পাস দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছেন তাদেরকে পড়তে হচ্ছে পুলিশি জেরার মুখে। একপর্যায়ে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল মহানগরের সবকটি কাঁচাবাজার, মুদির দোকান ও ওষুধের দোকান খোলা থাকলেও অন্যন্য দিনের মতো বিপনীবিতান, মার্কেটসহ সকল ফ্যাশন হাউজ বন্ধ ছিলো। তবে নগরীতে আগের চার দিনের তুলনায় মানুষের আনাগোনা অনেক বেশি দেখা গেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বা মুদিদোকানের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লা ও অলি-গলিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সকল দোকান খুলেছে। এসব দোকানে বিভিন্ন পণ্য কিনতে আসছেন অনেকেই। এতে বেড়েছে মানুষের আনাগোনা বা চলাচল। এর বাইরে অনেককেই দেখা গেল কৌত‚হলবশত বাসার বাইরে বের হতে বা ঘুরতে। আবাসিক এলাকাগুলোর অধিকাংশ দোকানপাটই ছিলো খোলা।