চিকিৎসক হয়রানির ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি বিএমএর
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ এপ্রিল ২০২১, ৮:৪৮:৩০ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: চলমান লকডাউনে দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ‘নিগ্রহ’ ও ‘হয়রানির’ শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন, বিএমএ।পাশাপাশি এলিফ্যান্ট রোডে নারী চিকিৎসককে হয়রানির ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিভাগীয় শাস্তির দাবি করা হয়েছে।
রোববার এলিফ্যান্ট রোডে পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনি সঙ্গে পুলিশের তর্ক হয়, যা এক পর্যায়ে উত্তপ্ত বিতণ্ডায় রূপ নেয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয় এবং দিনভর এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা হয়।
এ ঘটনার পর সোমবার বিএমএ বিবৃতিতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধও জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘চলমান লকডাউন চলাকালীন সময়ে করোনা মোকাবেলায় সম্মুখসারির যোদ্ধা চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা কর্মস্থলে যাওয়ার সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কর্তৃক ‘হয়রানি’ ও ‘নিগ্রহের’ শিকার হচ্ছেন। এ ধরনের ঘটনায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আতঙ্কগ্রস্ত ও হতাশ হয়ে পড়ছেন।’
‘ওই ঘটনার খবর ও আংশিক ভিডিও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, “নিজ গাড়িতে কর্মরত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের স্টিকার লাগানো এবং নিজের নামাঙ্কিত চিকিৎসক গাউন পরিহিত অবস্থায় পরিচয় দেওয়ার পরেও তাকে আক্রমণাত্মকভাবে জেরা করে উত্যক্ত ও হেনস্তা করার দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে।’
‘চিকিৎসকের এতগুলো পরিচয় দেওয়ার পরেও কেবলমাত্র মুভমেন্ট পাস ও প্রাতিষ্ঠানিক আইডি কার্ডের নামে আই্নশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়।’ দেশের বেশিরভাগ চিকিৎসক প্রাইভেট প্র্যাকটিসের সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তারা সরকারি বা বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন না। ফলে তাদের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক আইডি কার্ড নেই। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের আহবান করেছে বিএমএ।