ছাতকে বিদেশি ফল চাষ করে ৩ কৃষকের সাফল্য
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ এপ্রিল ২০২১, ৯:১৭:৫০ অপরাহ্ন
ছাতক প্রতিনিধি: ছাতকে বিদেশি ফল সাম্মাম ও রকমেল চাষ করে আলোচিত হয়ে উঠেছেন ক’জন তরুণ চাষী। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে সাম্মাম ও রকমেল ফল বাগান দেখতে এখানে ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক মানুষ। গ্রীষ্মকালীন সু-স্বাদু এসব ফল দেখতে খুবই সুন্দর ও বিলাসী। মরু অঞ্চলের মানুষের কাছে এ ফলটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। বুধবার বাগানে উৎপাদিত সাম্মাম ও রকমেল আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারজাত করা শুরু হয়। মঙ্গলবার বিকেলে সাম্মাম ও রকমেল বাগান পরিদর্শনে যান উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ও কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খান।
ফলটি সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। হলুদ রংয়ের খোসায় আবৃত ফলটির ভেতরের খাদ্য অংশটি অনেকটা আমাদের দেশের বাঙ্গির মতো। অন্যটি খোসার অংশ খসখসে ও ভেতরে অংশে হালকা হলুদ এবং বাদামি বর্ণের। মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় এ ফলের চাষাবাদ করে আশানুরূপ ফলন ঘটিয়ে প্রসংশা কুড়িয়েছেন উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের কালারুকা গ্রামের প্রবাসি রিয়াজ উদ্দিন, চানপুর গ্রামের বুরহান উদ্দিন ও রাজাপুর গ্রামের এনাম। গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে ৪ বিঘা জমিতে সাম্মাম ও রকমেল ফল চাষ করেন তারা। বর্তমানে এখানের কৃষকরার এসব ফল চাষে অনেকটাই আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
চাষীরা জানান, ফেব্রুয়ারীর মাঝামাঝি সমযয়ের মধ্যে সাম্মাম ও রকমেলন চাষ শুরু করতে হয়। আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি অবলম্বম ও নিয়মিত পরিচর্যা করা হলে ফলন ভালো হবে। দুই বা আড়াই মাসেই ফল পরিপক্ক হয়-যা বাজারজাত করা সম্ভব। উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে তারা এ ফল চাষাবাদ করছেন। ভবিষ্যতে বৃহৎ আকারে বানিজ্যিকভাবে এ ফল চাষ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এ ফল চাষাবাদে প্রতি বিঘা হিসেবে ৭০ হাজার টাকা করে প্রায় পৌনে ৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়েছে তাদের। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি সাম্মাম ফলের খুচরা মূল্য ৭৫-৯০ টাকা। সাম্মামের সাথে রকমেল নামের আরো একটি বিদেশি ফল চাষাবাদ করা হয়েছে। রকমেলের জন্য মাটি থেকে অন্তত ৫ ফুট উচ্চতায় মাচা তৈরি করতে হয়। এ ফল চাষে সূর্যের আলো অন্তন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি গাছে ১০-১৫টি পর্যন্ত ফল ধরে থাকে। ফল বড় হওয়া বা পরিপক্ক হওয়ার আগেই ছিঁড়ে যাতে না পড়ে সে জন্য থলের মতো নেটব্যাগ নিয়ে ঝুলিয়ে রাখতে হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হােসেন খান জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এখানে সাম্মান ও রকমেল চাষ লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশী ফলন হয়েছে। এটি একটি খুবই সু-স্বাদু ফল। ক্যালসিয়াম, লৌহ, ভিটামিনযুক্ত এ ফলে শতকরা ৯৫ভাগ জলীয় অংশ থাকায় মানব দেহের পুষ্টি চাাহিদা পূরণের পাশাপাশি শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।