চেকপোস্টে শিথিলতা, নগরে বেড়েছে চাপ
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ এপ্রিল ২০২১, ১০:৪১:১৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ভেতরে মার্কেট বন্ধ, আর সড়কে বাস বন্ধ। এ ছাড়া নগরীর অন্য সবকিছুই প্রায় স্বাভাবিক। সব ধরনের পরিবহন চলাচল করছে। সড়কে গাড়ির চাপ বেশি থাকায় ট্রাফিক পয়েন্টে লম্বা লাইন। সেই তুলনায় পুলিশ চেক পোস্টগুলোতে শিথিলতা। দিন যত গড়াচ্ছে ততই দুর্বল হয়ে পড়ছে করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর বিধিনিষেধ।
‘সর্বাত্মক লকডাউনে’র অষ্টম দিনে সিলেটে বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যা। মানুষের চলাচলও বেড়েছে। সেই তুলনায় চেকপোস্টগুলোতে পুলিশের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। বিভিন্ন পয়েন্টে বাঁশের ব্যারিকেডও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এতে প্রায় স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে নগরী।
বুধবার সরেজমিন নগরী ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে বাঁশ টানিয়ে চলছে পুলিশের অভিযান। তবে জরুরী কাজের জন্য যারা বের হচ্ছেন তাদের সার্বিক বিষয় তথ্য নিয়ে পুলিশ ছেড়ে দিচ্ছে। লকডাউনের সময় বাহির হয়ে অনেকেই পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ছেন। এছাড়া জরুরী কাজ ছাড়া কেউ রিকশা নিয়ে বের হলে পুলিশ রিকশা থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিতেও দেখা গেছে। সকালে পুলিশের এমন অভিযান শেষ বিকেলে আর দেখা যায়নি। তখন যান চলাচল প্রায় স্বাভাবিক হয়ে পড়ে।
বুধবার সকাল থেকে সিলেট নগরীর বিভিন্ন রাস্তায় অন্য দিনের তুলনায় সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট গাড়ি ও রিকশা দেখা গেছে। সেই সাথে লকডাউন বাস্তবায়নে সকালে কঠোর অবস্থানে দেখা যায় পুলিশকে। পুলিশের চেকপোস্টে রাস্তায় বের হওয়ার কোনো সদুত্তর না পেলেই যাত্রী নামিয়ে দিয়ে মামলা ঠুকে দেয় সংশ্লিষ্ট যানবাহনের বিরুদ্ধে। সেই সাথে জরিমানাও করা হয়। কিন্তু জরিমানা করা হলেও যান ও জন চলাচল কমেনি কিছুতেই।
দায়িত্বরত একজন পুলিশ সদস্য জানান, চেকপোস্টে একটু কড়াকড়ি করলে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন হয়ে যায়। তখন জরুরি কাজে নিয়োজিত যানবাহনগুলোর জন্যও সমস্যা হয়। তাই দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
নগরীর কালিঘাট, বন্দরবাজার, চৌহাট্টা, মদিনা মার্কেট ও আম্বরখানা এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকায় বুধবার সকাল থেকে জনসমাগম অন্যদিনের চেয়ে বেশী দেখা যায়। অনেকেই যানবাহন ব্যবহার না করেই পায়ে হেঁটে বাজার করাসহ জরুরী কাজ করছেন। অলি গলিতে ভাসমান পণ্য বিক্রেতাদের তৎপরতা ছিলো আরো বেশী। সেই সাথে সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ ফুটপাতে হকারদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
৮ম দিনে নগরের সবকটি কাঁচাবাজার, মুদির দোকান ও ওষুধের দোকান খোলা থাকলেও বিপণী বিতান, মার্কেটসহ সকল ফ্যাশন হাউজ বন্ধ ছিলো।
লকডাউনের বিষয়ে এসএমপি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষকে সচেতন করার জন্য পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট পরিচালিত হচ্ছে। যারা বিনা কারণে বাইরে ঘোরাঘুরি করবেন, মুভমেন্ট পাস না নিয়ে বাইরে বের হবেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মানবেন না তাদেরকে জরিমানা করা হচ্ছে। জরিমানার পাশাপাশি জনগণকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না আসার জন্য এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদ্বুদ্ধও করছে পুলিশ।