গাড়ি চোর চক্রের গ্যাং লিডার ল্যাংড়া তালেব ৫ সহযোগীসহ গ্রেফতার
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ এপ্রিল ২০২১, ১:৩৩:৫৬ অপরাহ্ন
🔳 রিভলবার-গুলি, ফেন্সিডিল, সিএনজি জব্দ 🔳
স্টাফ রিপোর্টার : আবু তালেব ওরফে ল্যাংড়া তালেব। সে মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, মাইক্রবাস ও অটোরিকশা চোর চক্রের গ্যাং লিডার। তার ৫ শতাধিক সদস্য রয়েছে। এই গ্যাংয়ের সদস্যরা দেশে বিভিন্ন এলাকা থেকে গাড়ী চুরি করে থাকে। এরপর গাড়ীর মালিকের সাথে কৌশলে যোগাযোগ করে। পরে টাকার বিনিময়ে মালিককে গাড়ী ফেরত দিতো।
সম্প্রতি র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯ এর নজরে এ বিষয়টি আসলে অভিযানে নামে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে শায়েস্তাগঞ্জ পুরান বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাড়ি চোর চক্রের প্রধান আবু তালেব ওরফে ল্যাংড়া তালেবসহ তার ৫ সহযোগীকে গ্রেফতার করে র্যাব-৯ এর ক্রাইম প্রিভেশন কোম্পানি-১। এ সময় তাদের হেফাজতে থাকা একটি বিদেশী রিভলবার, ২টি গুলি, ৫ বোতল ফেন্সিডিল এবং ৪টি চোরাই সিএনজি জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার উবাহাটা গ্রামের মোঃ আব্দুল শহিদের পুত্র মোঃ আবু তালেব ওরফে ল্যাংড়া তালেব (৪৫), হবিগঞ্জ সদর উপজেলার মিডাপুর গ্রামের মৃত আবুল হকের পুত্র ফজলু মিয়া (৫০), রজবপুর গ্রামের দরবেশ আলীর পুত্র ফজলু মিয়া (৩৫), বাহুবল উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার পুত্র ইব্রাহিম আহমেদ সুজন (২২), নবীগঞ্জ উপজেলার বনগাও গ্রামের মৃত মায়া উদ্দিনের পুত্র বদরুজ্জামান (২৩) ও একই উপজেলার বুড়িনাও গ্রামের মৃত আফতাব উদ্দিনের পুত্র সাইদ মিয়া (৩৫)।
এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন র্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার এ.কে.এম কামরুজ্জামান।
তিনি জানান, বুধবার ভোরে শায়েস্তাগঞ্জ পুরান বাজার থেকে প্রথমে তালেবকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য ভিত্তিতে মাধবপুর থেকে ১টি সিএনজিসহ ২ জন ও বাহুবল এবং মৌলভীবাজার সদর থেকে ৩টি চোরাই সিএনজিসহ আরো ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো জানান, আবু তালেব ওরফে ল্যাংড়া তালেবের বিরুদ্ধে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন থানায় ১৪টিরও অধিক মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য- ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর ল্যাংড়া তালেব চার সহযোগীসহ গ্রেফতার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাছে। এসময় পাঁচটি চোরাই সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়। তাদেরকে গ্রেফতারের পর হবিগঞ্জের তৎকালীন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা সংবাদ সম্মেলনে জানান, ল্যাংড়া তালেবের সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেট, হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গাড়ি চুরি করে আসছে। তারা আবার মালিককে টাকার বিনিময়ে ওই গাড়িটি ফেরতও দেয়। তার চোর সিন্ডিকেটে ৫ শতাধিক সদস্য রয়েছে। তারা ২০০৮ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ১ হাজারেরও বেশি গাড়ি চুরি করে।