পুত্রের খুনিরা ধরা পড়বে সেই অপেক্ষায় গোলাপগঞ্জের ব্যবসায়ী শাহীনের মা
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ এপ্রিল ২০২১, ৮:৪১:৪৮ অপরাহ্ন
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি : গোলাপগঞ্জের ব্যবসায়ী শাহীনের খুনিরা ধরা পড়বে সেই অপেক্ষায় আছেন ব্যবসায়ী শাহীনের মা। সন্তানকে হারিয়ে বৃদ্ধ বয়সে তিনি অনেকটা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। শাহীন হত্যার একমাস পেরিয়ে গেছে। পুলিশী অভিযানে এ যাবৎ ৮ জন ধরা পড়েছেন, তাদের অনেককে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত শাহীন হত্যার মূল আসামিরা ধরা পড়েনি, তবে পুলিশ বলেছে তাদের হাতে অনেক গোপন তথ্য এসেছে। গোলাপগঞ্জের ব্যবসায়ী তরুণ সমাজসেবী এহতেশামুল হক শাহীনের খুনিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের অপেক্ষায় আছেন তার বৃদ্ধ মাসহ আত্মীয় স্বজন।
গত ২২ মার্চ ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিজ এলাকা ফুলবাড়ী ইউনিয়নের হাজীপুর লরিফর গ্রামের রাস্তায় মধ্যরাতে দুষ্কৃতকারীদের কবলে পড়ে নির্মমভাবে প্রাণ হারান হেতিমগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী এহতেশামুল হক শাহীন। তার মৃত্যুর পর উত্তাল হয়ে উঠে পুরো উপজেলা। দল মত নির্বিশেষে শাহীনের খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে মাঠে নামেন হাজার হাজার মানুষ। পুলিশও বিভিন্নস্থানে দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান চালায়। এত কিছুর পরও শাহীন হত্যার মূল রহস্য এখনো উদঘাটিত হয়নি। শাহীনকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে না ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে তিনি প্রাণ হারিয়েছেন এ বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শাহীনের শরীরে ছিল গুরুতর জখমের আঘাত। তার পেটে ছিল ছুরির আঘাতের চিহ্ন। শাহীনের মতো একজন সমাজসেবী, ব্যবসায়ী ও সজ্জন ব্যক্তিকে এমন নির্মমভাবে খুন করার ঘটনাটি মেনে নিতে পারেনি সমাজের মানুষ। শাহীনের মা, সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দিতে আওয়ামীলীগের জেলা পর্যায়ের অনেক সিনিয়র নেতা তাদের বাড়ীতে গিয়েছেন। উর্ধ্বতন প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতারের লক্ষে বিভিন্নভাবে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এরপরও প্রকৃত খুনিরা ধরা পড়েনি।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) নাজমুল হাসান প্রতিবেদককে জানান, ঘটনার পর সন্দেহভাজন অনেককে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেককে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বিষয়টি অতিগুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলে তিনি প্রতিবেদককে জানান। কিছুটা তথ্য পেয়েছেন এমন দাবী করে তিনি বলেন, আরো অনেকেই টার্গেটে আছেন, শিঘ্রই তারা ধরা পড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করলেন।
এদিকে, শাহীনের বৃদ্ধ মা অপেক্ষায় আছেন কখন তার পুত্রের খুনিরা ধরা পড়বে। কেন তার সন্তানকে রাতের অন্ধকারে বাড়ী ফেরার পথে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে, তা জানতে তিনি অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। শাহীন হত্যাকারীরা ধরা পড়বে, আইনের আওতায় আসবে এবং তাদের শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত হবে এমন বক্তব্য এলাকার সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে শোনা যায়।