নগরীর শিবগঞ্জে গর্ভবতী গাভী জবাই করে মাংস বিক্রি!
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ এপ্রিল ২০২১, ৯:০৭:৩৩ অপরাহ্ন
পেটে মিললো ৩ কেজি ওজনের বাচ্চা
স্টাফ রিপোর্টার : নগরীতে একটি মাংসের দোকানে গর্ভবতী গাভী জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে শিবগঞ্জের মাখন মিয়ার গোস্তের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সিলেট সিটি কর্পোরেশন ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। তবে সিসিকের লোকজন মাংসগুলো জব্দ করেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে শিবগঞ্জের মাখন মিয়ার গোস্তের দোকানের পার্শ্ববর্তী বিসমিল্লাহ মিট শপের ফারুক নামের এক কর্মচারী তার কর্মস্থলে আসেন। এ সময় তিনি দেখতে পান মাখন মিয়ার গোস্তের দোকানে জবাইকৃত গাভীর পেটের ভেতর থেকে ৩ কেজি ওজনের একটি বাচ্চা বের করা হচ্ছে। বিষয়টি আশপাশের আরো কয়েকজন ব্যবসায়ীকে অবহিত করেন তিনি। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেছে বুঝতে পেরে মাখনা মিয়ার গোস্তের দোকানের লোকজন গাভীর বাচ্চাটিকে সরিয়ে ফেরার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিসমিল্লাহ মিট শপের কর্মচারী ফারুক জবাইকৃত গাভীর বাচ্চার ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়। পরবর্তীতে গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে গেলে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নিতে গিলে মাখন মিয়া গোস্তের দোকানের লোকজন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনে ভেটেনারি সার্জন ডা: অনুপ চৌধুরী বলেন, বাগবাড়িতে নির্ধারিত জবাইখানায় পশু পরীক্ষা করে জবাইয়ের জন্য অনুমতি দেয়া হয়। এর বাইরে অন্য কোথাও বিনা পরীক্ষায় কোন কোন মাংস ব্যবাসায়ী পশু জবাই করলে সেটি অবৈধ। মাখন মিয়ার মাংসের দোকানেও তা করা হয়েছে।
এদিকে পশু জবাইয়ের পূর্বে সিটি কর্পোরেশনের লোকজন পশু দেখার পর সীল (জবাইয়ের অনুমতি) দেয়া হয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, সিসিকের লোকজন পশু দেখার পর সীল (জবাইয়ের অনুমতি) দেয়া কথা। তবে আজ কী হয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
সিসিকের এই কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এতে যদি সিটি কর্পোরেশনের কোন গাফিলতি থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।