দাম বেড়েছে সবজি-মুরগি-ফলের, কমেছে চালের দাম
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ এপ্রিল ২০২১, ৯:১১:২২ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : দেশে চলছে লকডাউন। গত ৫ এপ্রিল শুরু হওয়া লকডাউন চলবে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। আর ইতোমধ্যে ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে রমজান। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রমজানের আগে মানুষ চাল, ডাল, পেঁয়াজ, চিনি, তেল প্রয়োজনের চেয়ে বেশি করেই কিনেছেন। ফলে রমজানের শুরুতে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বেড়ে গিয়েছিল। সেই বাড়তি দামে এই সপ্তাহেও বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব পণ্য। গত সপ্তাহের তুলনায় দাম বেড়েছে সবজি-মুরগি আর ফলের। বাকি সব পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
বন্দরবাজার, আম্বরখানা ঘুরে দেখা গেছে, নাজির চাল ৬৩, মিনিকেট ৬৩, পাইজাম ৫০, মোটা চাল ৪৬ এবং আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৯ টাকা করে।
চালের দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে কালীঘাট চাল মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ বলেন, ‘ চাল আমদানি হওয়ায় দাম কমেছে। বস্তা প্রতি আতব ও সিদ্ধ চাল ১৫০ টাকা কমেছে। তবে বাজারে ক্রেতা নেই।’ রমজান শুরুর আগে থেকেই বেড়েছে সবধরনের ফলের দাম। সে দাম আরও বেড়েছে। বেশি বেড়েছে কলার দাম। সাগরকলার ডজন ১৩০-১৪০ টাকা, চম্পাকলা ৬০-৭০, বাংলাকলা ৭৫, বেল আকারভেদে প্রতিটি ৮০-১৪০, পেয়ারা কেজি ১০০, আনারস প্রতিটি ৩০-৬০, তরমুজের কেজি ৪০, পাকা পেপে কেজি ১৩০-১৫০ টাকা এবং সবুজ আপেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহের চেয়ে এই সপ্তাহে (২২ এপ্রিল) সব মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা। লালবাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা, সোনালি জাতের মুরগি কেজি ৩৮০ টাকা, দেশি জাতের মুরগির কেজি ৪৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২২০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। লকডাইনে মুরগি আনতে পারছেন না ব্যসায়ীরা। সব ধরনের মুরগির সাপ্লাই চাহিদার তুলনায় কম।
মাছের বাজারও অনেকটা স্থিতিশীল আছে। বাজারে ক্রেতা সংখ্যা কম। লালবাজার মাছ বাজারে দেখা গেছে, রুই বিক্রি হচ্ছে কেজি ২৫০-৩০০ টাকা, বড় কাতল ৩০০-৩৫০ টাকা, চিংড়ি বড় ৮০০ টাকা, মাঝারি ৬০০ আর ছোট ৫০০ টাকা। তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, বাতাসি মাছ প্রতিকেজি ২৫০ টাকা, বাইম মাছ ৫০০-৫৫০ টাকা, শিং (দেশি) ৫০০ টাকা, বোয়াল ৩০০ টাকা, টেংরা ৩০০-৩৫০ টাকা এবং শোল মাছ ৪০০-৪৫০, পাবদা ৪০০, কৈ ১৮০, মলা মাছ ৪০০ টাকা করে বিক্রি করছে। এছাড়া মাঝারি আকারের রূপচাঁদা মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়।
কালীঘাটের ব্যবসায়ী আতিক উল্লাহ বলেন, ‘ভোজ্য তেলের দাম গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে। আজকের বাজারে সরকারিভাবে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া মূল্যেই কোম্পানি ভেদে প্রতি লিটার ১৩৫-১৪০ টাকা, ২ লিটার ২৬০-২৬৫ এবং ৫ লিটার সয়াবিন তেল ৬৩০-৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু ১৮-২০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা, ঢেড়স ৫০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০-৭০ টাকা, লাউ প্রতিটা ৬০ টাকা, টমেটো কেজি ৩০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২-৩ টাকা কমে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকা। রসুন ১২০, আদা দেশি ৭৫-৮০, চায়না ১৩০, মশুর ডাল ১০০, ছোলা ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংশের দামও গত সপ্তাহের মতো রয়েছে। আজকের বাজারে গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০-৬০০ টাকায়। খাশির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৮০-৯০০ টাকায়।