লকডাউনেও বেড়েছে আক্রান্ত ও মৃত্যু
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ এপ্রিল ২০২১, ৯:২৮:২২ অপরাহ্ন
সিলেটে আরো ৩ মৃত্যু, আক্রান্ত ২০ হাজার অতিক্রম
স্টাফ রিপোর্টার : লকডাউনের ১০ দিন পার। স্থবির সবকিছু। জীবনযাত্রা থমকে আছে। তবুও সিলেটে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। প্রতিদিনই মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। আক্রান্তও প্রতিদিন একশ’র উপরে। লকডাউনে যেখানে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসার কথা, সেখানে ঘটছে তার উল্টোটা।
গত ২৪ ঘন্টায় বিভাগে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মাঝে একজন শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে মারা গেছেন। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর বাড়ী নগরীর বাগবাড়ী এলাকায়। এতে সিলেটে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩২২ জনে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে বিভাগে আরও ১২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের নিয়ে সিলেটে শনাক্ত ২০ হাজার অতিক্রম করেছে।
তবে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, লকডাউনে এটাই স্বস্তি যে- সিলেটে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে করোনা পরিস্থিতি। অন্তত ট্রান্সমিশনের ব্যাপকতা কমেছে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর চাপ কিছুটা কমেছে। গত দুইদিনে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও কমেছে। তবে আইসিইউ’র জন্য লড়াই চলছে। তবে আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে আক্রান্তের হারও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা মনে করছেন।
এদিকে, সিলেটে ২৪ ঘন্টায় নতুন শনাক্তদের মধ্যে ১১০ জনই সিলেট জেলার বাসিন্দা। এছাড়া সুনামগঞ্জ জেলার ৪ জন, হবিগঞ্জ জেলার ১ জন এবং মৌলভীবাজার জেলার ৯ জন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ হাজার ৭২ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৮২১ জন, সুনামগঞ্জে ২ হাজার ৭০২ জন, হবিগঞ্জে ২ হাজার ২৮৫ জন ও মৌলভীবাজারে ২ হাজার ২৬৪ জন রয়েছেন।
সিলেট বিভাগে এ পর্যন্ত ৩২১ জন করোনাভারাইরাসে আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে সিলেট জেলায় সর্বোচ্চ ২৫১ জন, সুনামগঞ্জে ২৬ জন, হবিগঞ্জে ১৮ জন এবং মৌলভীবাজার জেলায় ২৬ জন রয়েছেন।
বিভাগে এ পর্যন্ত ১৮ হাজার ১২৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ১১ হাজার ৬৯৮ জন, সুনামগঞ্জের ২ হাজার ৫৮৫ জন, হবিগঞ্জের ১ হাজার ৭৭০ জন এবং মৌলভীবাজার জেলার ২ হাজার ৭৬ জন।
করোনা আক্রান্ত ২৯৬ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৭৪ জন, সুনামগঞ্জের হাসপাতালে ৫ জন, হবিগঞ্জের হাসপাতালে ১৩ জন এবং মৌলভীবাজারের হাসপাতালে ৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।